বাতিল করা হয়েছে কঙ্গনার টুইটার একাউন্ট
কঙ্গনা মানেই ঝড়, কঙ্গনা মানেই বিতর্ক। রিল লাইফ থেকে রিয়েল লাইফ সর্বদাই আলোচনা -সমালোচনার শীর্ষে তিনি। নেপোটিজম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বহুবার শিরোনামে এসেছে তার নাম। আবারও সংবাদপত্রের শিরোনামে তিনি। তবে এবার নেপোটিজম বা বলিউড কেন্দ্রিক কোন ব্যাপার নয় কঙ্গনার টুইটার একাউন্ট বাতিল করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ, এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ব্যাপক শোরগোল।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করেন তিনি।ভিডিওর ক্যাপশনে লেখেন, বিরক্ত, ভাষাহীন, গণতন্ত্রের মৃত্যু। এর পর পরই বলিউড অভিনেত্রী তার টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বাতিল করে সংস্থাটি। কারণ হিসেবে বলা হয়, তার আপলোড করা সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্থিরতা ছড়াতে পারে এই মর্মে কঙ্গনার একাউন্টটি বাতিল করা হয়েছে।
টুইটার বলছে, আমরা আগেই বলেছি, অস্থিরতা ছড়াতে পারে এমন যেকোনো কন্টেন্টের বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেবো। স্থায়ীভাবে বাতিল হওয়া অ্যাকাউন্টটি আমাদের আইন, বিশেষ করে 'হেটফুল কনডাক্ট পলিসি' ও 'অ্যাবিউসিভ বিহেভিয়ার' লঙ্ঘন করেছে। টুইটারের আইন সকলের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে একাধিক টুইট করেছিলেন তিনি। তার করা এক টুইটে অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে । এমনকি এক টুইটে পশ্চিমবঙ্গকে কাশ্মীরের সঙ্গেও তুলনা করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
এ টুইটে তিনি বলেন, ‘মমতার বড় শক্তি এখন বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা। লক্ষ্য করছি, পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা আর মেজরিটিতে নেই। তথ্য নিয়ে বলছি ভারতের বাঙালি মুসলমানরা সবচেয়ে দরিদ্র আর বঞ্চিত। পশ্চিমবঙ্গ আরেকটি কাশ্মীর হতে যাচ্ছে।’
তার একের পর এক টুইটে উস্কানিমূলক বক্তব্য খুঁজে পেয়েছেন অনেকেই, ঝড় তুলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু এসব কিছু মানতে নারাজ কঙ্গনার ভক্তরা। অন্যদিকে টুইটার একাউন্ট বন্ধ হওয়ায় হার মানেননি পর্দার কুইন৷ হাতিয়ার করেছেন ইন্সটাগ্রামকে, একই ভিডিও পোস্ট করেছেন সেখানে।