অলিম্পিকের বাস্কেটবলে প্রথম আরবীয় মুসলিম নারী রেফারি
টোকিও অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো সুযোগ হয়েছে এক আরব ও আফ্রিকান মুসলিম নারী রেফারির। মিশরের নামের এই নারী রেফারির পরিচালনা করবেন অলিম্পিকে বাস্কেটবল ম্যাচ। আসন্ন অলিম্পিকে বাস্কেট বলের উদ্বোধনী ম্যাচেই দেখা যাবে সারা জামালকে রেফারি হিসেবে।
এ নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত এই আফ্রিকান ও আরব রেফারি। সংবাদ মাধ্যম এএফপি-কে দেয়া সাক্ষাতকারে সারাহ বলেন, বাস্কেটবলে খেলা পরিচালনা করার পর কখনও আমাকে বাজে মন্তব্য শুনতে হয়নি। এমন কি কোন প্রতিবন্ধকতারও মুখোমুখি হতে হয়নি। আমার হিজাব আমাকে কোন সমস্যায় ফেলেনি এখনও পর্যন্ত।
সারাহ আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল ফেডারেশন ২০১৭ সাল থেকে তাদের নিয়মে পরিবর্তন করে যেখানে হিজাব পড়তে কোন নিষেধ করা হয়নি।” ২০১৮ সালে বেলারুশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল ফেডারেশন ওয়ার্ল্ড ইউথ কাপ ও ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্সশিপ প্রতিযোগিতায় ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে সারাহ’র।
তবে সারাহ স্বীকার করেছেন, এত পথ পেরুতে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এর সবই এক দিনে হয়নি। এর জন্য পরিবার এবং কাছের মানুষদের সহযোগিতা পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। “এতদূর আসতে আমাকে অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। শুরুর দিকে আমি ঠিকভাবে পারিনি। তবে কঠিন অনুশীলনে একটা সময় আমি সফল হই। এক্ষেত্রে আমার পরিবার ও কাছের মানুষদের সহযোগিতা অনস্বীকার্য। আমার এত বড় সুসংবাদ শুনে আমার পরিবারের সবাই রোমাঞ্চিত।”
খেলার দুনিয়ায় যেখানে পুরুষদের প্রাধান্য বেশি, সেখানে একজন নারী হিসেবে পুরুষদের খেলা পরিচালনায় কোন দ্বিধা সারাহর মধ্যে কাজ করেনি। তিনি বলেন, ‘আমি পুরুষদের অনেক খেলা পরিচালনা করেছি। এর মধ্য দিয়ে আমি নিজের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছি; যা মিসরের রেফারিং কমিটির আস্থা জুগিয়েছে।’
করোনা মহামারির মধ্যে দেশের বাইরে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার একটু উদ্বিগ্ন…কিন্তু এর কারণে আমাকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে তাদের উৎসাহে ঘাটতি পড়েনি। আমি ভবিষ্যতে পুরুষ ও নারীদের ওয়ার্ল্ড কাপেও রেফারিং করতে চাই এবং আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে আমার প্রতি যে আস্থা রাখা হয়েছে, তা ধরে রাখতে চাই।’