নিজের নিরাপত্তায় কোন মাস্কটি বেছে নেবেন?
সময়ের দাবি এখন সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সচেতনতা। করোনার টিকা এলেও তা পুরোপুরি কাজ করতে বা টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নিয়ে তার কার্যকারিতা অনেক সময় সাপেক্ষ বিষয়। এরইমধ্যে করোনা মাত্রা ছাড়িয়ে বেড়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সঠিক ভাবে স্বাস্থ্য সচেতনতা রক্ষা করে চলার কোন বিকল্প নেই।
আর স্বাস্থ্য সচেতনতা বলতে প্রথমেই আসে মাস্কের বিষয়টি। বাইরে বের হওয়ার জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এরপর বারবার হাত স্যানিটাইজ করা, বাইরে থেকে এসে ভালোভাবে হাতমুখ সাবান দিয়ে ধোয়া ইত্যাদি তো আছেই। নিজেকে বাঁচাতে হলে এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।
কিন্তু কথা হচ্ছে বের হওয়ার সময় আপনি নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোন মাস্কটি বেছে নেবেন। আসুন তবে জেনে নি কয়েকটি মাস্কের কার্যকারিতা সম্পর্কে।
সার্জিক্যাল মাস্ক
এই মাস্ক ৯৫% ভাইরাস হতে সুরক্ষা দিতে পারে। ব্যাকটেরিয়া থেকে ৮০%, ধূলিকণা থেকে ৮০% এবং পরাগ থেকে ৮০% সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
এন৯৫ মাস্ক
এটি ভাইরাস প্রতিরোধ করে ৯৫%। ব্যাকটেরিয়া, ধূলিকণা এবং পরাগ হতে ১০০% সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
কার্বনযুক্ত মাস্ক
এই মাস্কটি ব্যাকটেরিয়া, ধূলিকণা এবং পরাগ থেকে ৫০% সুরক্ষা দিলেও ভাইরাস থেকে মাত্র ১০% সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
কাপড়ের মাস্ক
এই মাস্কে কোন রকম ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা নেই অর্থাৎ ০%। তবে এটি ব্যাকটেরিয়া, ধূলিকণা ও পরাগ থেকে ৫০% সুরক্ষা দিতে পারে।
এন৯৯ মাস্ক
এই মাস্কটি সবথেকে বেশি ভাইরাস সুরক্ষা দিতে পারে। এটি ৯৯% পর্যন্ত ভাইরাস সুরক্ষা দেয়। এমনকি ব্যাকটেরিয়া, ধূলিকণা ও পরাগ হতে ১০০% সুরক্ষা দেয়।
ডব্লিউ৯৫ মাস্ক
এটি সকল ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ধূলিকণা ও পরাগ থকে ৯৫% পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে।
স্পঞ্জ মাস্ক
এই মাস্কটি একেবারে ভাইরাস প্রতিরোধ্য নয়। এটির ভাইরাস সুরক্ষা ০%। ব্যাকটেরিয়া, ধূলিকণা ও পরাগ থেকে ও মাত্র ০.৫% সুরক্ষা দিতে পারে এটি।
অনেকেই আছেন ডাবল মাস্ক ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে একটা সার্জিক্যাল মাস্কের সাথে একটা কাপড়ের মাস্ক পরবেন। কখনোই দুটি সার্জিক্যাল মাস্ক পরপর পরবেন না। অথবা দুটো কাপড়ের মাস্কও পরপর পরবেন না।