Skip to content

দেশে স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার ২৯ শতাংশ নারী

দেশে স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার ২৯ শতাংশ নারী

দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রায় প্রত্যেকদিন খবরের কাগজের কোন না কোন পাতায় এ সংক্রান্ত খবরের জায়গা যেন নির্দিষ্ট হয়ে আছে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে শুধু স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হন ২৯ শতাংশ নারী।

ইউএনএফপিএ’র নিয়মিত বার্ষিক প্রকাশনা ‘বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি ২০২১’-এ এই তথ্য দিয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নারীশিক্ষা ও অধিকার বিষয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে ৫৯ শতাংশ কিশোরীর বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হন ২৯ শতাংশ নারী।

 

এ প্রেক্ষাপটে আরো বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযুক্ত বয়সী শিশুদের ৯৫ শতাংশ বিদ্যালয়ে যায়। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযুক্ত বয়সীদের মধ্যে এই হার ৬২ শতাংশ। 

এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে দেশের জনসংখ্যা নিয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়,  বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৬৩ লাখ। দেশে বছরে ১ দশমিক ১ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বাড়ছে। একজন বিবাহিত নারী প্রজনন বয়সে  গড়ে দুটি সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫ দশমিক ৩ শতাংশের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি।

প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের নারী ও পুরুষের গড় আয়ু তুলে ধরা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশে পুরুষের চেয়ে নারীর গড় আয়ু অন্তত চার বছর বেশি। দেশে পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ বছর এবং  নারীদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭৫ বছর।  

 

নারী পুরুষের সমতা বিধান নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের কোন দেশ সামগ্রিকভাবে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করতে পারেনি। অনেক দেশে সাংবিধানিক নিশ্চয়তা থাকার পরও পুরুষ যত আইনি অধিকার ভোগ করেন, তার ৭৫ শতাংশ ভোগ করতে পারেন নারী।