Skip to content

২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিরিয়ডকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে দরকার সম্মিলিত উদ্যোগ

পিরিয়ডকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দিক থেকে আমাদের দেশ এখনো অনেকটা পিছিয়ে আছে। তাই বর্তমানে জরুরি ভিত্তিতে দরকার মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন।  আর এক্ষেত্রে মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। 

গত ১৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)  পালিত হয়  ‘ঋতু কর্মসূচির স্থায়ীত্বশীলতা সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত শিখন বিনিময় সভা'। সেখানে উপস্থিত সকলে বলেছেন, অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাফল্যের সাথে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।  

 

সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর বলেন, মাসিককে ঘিরে সমাজে যে ট্যাবু আছে তা দূর করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাস্থ্যখাতকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। এই সময়ে ঋতু কর্মসূচি থেকে অর্জনের অনেকটা মুছে গেছে। যেটুকু আছে সেটুকু ধরে রাখতে হবে। এ জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। 

তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় বক্তাদের হেলিকপ্টারে চড়ার জন্য জনগণই টাকা দেয়, অথচ স্কুলে মাসিক বান্ধব টয়লেট স্থাপনের জন্য বিদেশ থেকে টাকা আনতে হয়। সমতাপূর্ণ সমাজ চাইলে এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। সমাজে একটা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

 
সৈয়দ মাহফুজ আলী বলেন, এনসিটিবির কারিকুলামে মাসিকের বিষয়গুলো আছে। শিক্ষকদের এ ব্যাপারে ওরিয়েন্টেশনও দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে দুর্বলতাগুলো দূর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন কারিকুলামে মাসিক সংক্রান্ত বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার সকল বিষয়ে স্কুলে শিক্ষাদানের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এখন বিদ্যমান কারিকুলাম রিভাইজের কাজ করছি, যা ২০২১ সালে চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। কোভিডের কারণে একটু পিছিয়ে গেলেও ২০২২ সালে চূড়ান্ত করা যাবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক মাসিক বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগের কথা তুলে ধরে মনিরুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন অংশীদারদের যুক্ত ও মাসিক সংক্রান্ত আলোচ্য বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে একটি কৌশলপত্র তৈরি করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে সরকার অনুমোদন দিয়েছে। এই কৌশলপত্রের বাস্তবায়ন নির্দেশিকা তৈরির জন্য একটি জাতীয় সমন্বয় কমিটি করা হবে। সবার মতামতের জন্য সেটি উন্মুক্ত করা হবে।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ