করোনায় মানসিক চাপ কমাতে চাই সহানুভূতি
করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে এগোচ্ছে। আক্রান্তের সাথে মৃত্যুহারও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এমতাবস্থায় মানসিক চাপে কমবেশি সবাই ভুগছেন। মানসিক অবসাদ থেকেই আক্রান্ত অনেকে আরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।এতে তাদের সুস্থ হয়ে উঠা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র প্রিয়জনের সহানুভূতিই হতে পারে মানসিক চাপ কমানোর উপায়। এছাড়াও নিয়মিত কিছু বিষয় মেনে চললেও পেতে পারেন মানসিক চাপ বা অবসাদ থেকে মুক্তি।
মানসিক চাপ ঝেড়ে ফেলতে শারীরিক পরিশ্রম ঔষধের মত কাজ করে। ঘরের কিছু কাজ নিজে করুন। সারাক্ষণ করোনার চিন্তায় থাকা পরিহার করুন।
গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। একাজটি প্রতিদিন অন্তত ১০ বার করুন । ইতিবাচক চিন্তা করুন, করোনা নিয়ে নেতিবাচক তথ্য এড়িয়ে চলুন।
স্ট্রেসের মাত্রা কমাতে সাধারণ চা,কফির পরিবর্তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি পান করুন । ছুটিতেও পরিকল্পনা ও তালিকা করে কাজ করুন। কাজে ব্যস্ত থাকলে খারাপ চিন্তা মনে কম আসে।
অনেকের মানসিক চাপে রাতে ঘুম আসেনা। আর ঘুম না হলে ক্লান্ত লাগে এবং এভাবে মানুষ মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়ে। তাই সময়মত পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে, রাতে শোবার আগে গোসল করে নিতে পারেন, গান শুনলেও ঘুম পায়। অবশ্যই হাতের ফোনটি দূরে রাখুন, টিভি বন্ধ করে ঘরের আলো কমিয়ে শুতে যান। শুতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ শরীরচর্চা করতে পারেন। যা আপনার শরীরে ঘুমের চাহিদা তৈরিতে সাহায্য করবে। তারপরও দুশ্চিন্তায় ঘুম না হলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ।
এসমস্ত বিষয় মানার পাশাপাশি মাছ-মাংস, বাদাম, শাক-সবজি ও টাটকা ফল খান। সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। করোনা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ছাড়া অন্য সবার পরামর্শ শোনার বা মানার যেমন প্রয়োজন নেই, তেমনি সব তথ্যই সত্য বলে ভেবে নেওয়াও বোকামি। করোনা প্রতিরোধের নিয়মিতগুলো মেনে চলুন। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন আর ঘরে থাকুন। বিষণ্ণতা থেকে মুক্ত থাকতে ধ্যান কিংবা প্রার্থনা করুন।
নিরাপদ দূরত্ব মেনে প্রিয়জনের সাথে সময় কাটান। মন খুলে কথা বলুন। প্রিয়জনের পাশে থাকুন। একে অপরের প্রতি এই কঠিন পরিস্থিতিতে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সুস্থ থাকুন।