না ফেরার দেশে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক
করোনার আক্রমণ দিনের পর দিন হচ্ছে আরো প্রবল। প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক।
তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মেয়ে ফারহিন খান জয়িতা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে মিতা হকের জামাতা অভিনেতা মোস্তাফিজ শাহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, ‘মিতা হক সকাল ৬.২০ এ চলে গেলেন। চলেই গেলেন। সবাই ভালোবাসা আর প্রার্থনায় রাখবেন।’
গত ২৫ মার্চ মিতা হকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন। ৩১ মার্চ তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১১দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি সুস্থও হয়ে ওঠেন।
৯ এপ্রিল তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন ১০ এপ্রিল (শনিবার) সকালের দিকে হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। এরপর তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তিনি মারা যান।
মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে। তিনি বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী। সুরতীর্থ নামে একটি সঙ্গীত প্রশিক্ষণ দল গঠন করে সেটির পরিচালক ও প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন তিনি। এছাড়া ছায়ানটের রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন মিতা হক। তিনি প্রয়াত অভিনয়শিল্পী খালেদ খানের স্ত্রী।
তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। সঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে একুশে পদক পান মিতা হক। এছাড়াও ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন ।