নারীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ ভাগ
একসময় নারীকে রাখা হতো ঘরকুনো করে। চাকরি তো দূরের কথা বাড়ির বাইরে যাওয়াই প্রায় ছিলো অসম্ভব। তবে এখন সময় অনেক পাল্টেছে। পাল্টেছে মানুষের মানসিকতা ও চিন্তা-ভাবনার। বর্তমানে নারীরাও পুরুষের সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও করছে চাকরি। কেবল চাকরিই নয়, কৃষিক্ষেত্রে, পোশাক শিল্পে, উদ্যোক্তা হিসেবে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে রাখছে অবদান।
১৯৭১ সালে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ছিল যেখানে মাত্র ১০ ভাগ, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর তা হয়েছে ৩৬ ভাগ। অর্থাত্ বেড়েছে ২৬ শতাংশ। কৃষি, তৈরি পোশাক, ব্যাংক, অফিস-আদালতসহ কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন প্রায় ৩৬ ভাগ নারী।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যে তিনটি খাত বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে, তার সবগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। যদিও কুসংস্কার, সামাজিক বিধিনিষেধ আর নিরাপত্তাহীনতা নারীর অগ্রযাত্রায় পাহাড়সমান বাধা হিসেবে কাজ করছে। তবে এসকল বাধা পার করে অনেক নারীই এগিয়ে এসেছেন। তবে এখনো অনেক নারীকে সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিভিন্ন সমস্যার। নারীরা এভাবে এগিয়ে কেবেল যে পরিবারেরই আর্থিক সহযোগীতা করছে তা নয়, তারা জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়েছে, প্রশংসিত হয়েছে। নারী শিক্ষায় বিনিয়োগ করে বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে সুফল । গ্র্যাজুয়েশন পর্যন্ত বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা রেখে নারী শিক্ষার বৈপ্লবিক প্রসার ঘটিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই তুলনায় শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ এখনো কম।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, নারীর আর্থসামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান হয়। এজন্য দরকার নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা ও সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা এবং আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা। নারী-পুরুষ উভয়ে একসাথে অগ্রসর হলেই দেশ প্রকৃত উন্নতির মুখ দেখবে।