প্রয়াত স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের প্রথম নারী কণ্ঠশিল্পী!
নমিতা ঘোষ। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের প্রথম নারী কণ্ঠশিল্পী। ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল মাত্র ১৪। সেই বয়সেই তিনি সামিল হয়েছিলেন যুদ্ধে। নিজ কণ্ঠ দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি। তাই তাকে একাত্তরের কন্ঠযোদ্ধা বললে খুব একটা ভুল হবেনা। স্বাধীনতায় বিশেষ ভূমিকা রাখা এই নারী স্বাধীনতা দিবসে অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ দিবাগত রাতেই পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
১৯৭১ এর ২৭ মার্চ রাতে বুড়িগঙ্গা পেরিয়ে, কেরানীগঞ্জ দিয়ে, কুমিল্লা হয়ে তখনকার দুর্গম এবং বিপজ্জনক পথ পেরিয়ে তিনি চলে যান আগরতলা। পরিচিত হন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের সঙ্গে। সে সময় সেখানে একটি প্রামাণ্য চিত্র তৈরির কাজ চলছিলো। সেটিতে অংশ নেন নমিতা ঘোষ। পরে সেটি ভারতের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা হয়েছে।
প্রামাণ্য চিত্রের শুটিং শেষে তিনি আগরতলা থেকে কলকাতায় যান। যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। সেখানে প্রথম নারী কণ্ঠশিল্পী নমিতা ঘোষ। গত ১২ মার্চ তিনি, বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এর পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে প্রথমে আজগর আলী হাসপাতালে, পরে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর অবস্থার অবনতি হতে থাকলে, তাকে পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা যায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এবং ২৬ শে মার্চ শুক্রবার রাত ১০টায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। রাজধানীর পোগোজ স্কুল প্রাঙ্গণে ২৭ মার্চ (শনিবার) বেলা ১১টায় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর রাতে এই মহান নারীর চিরবিদায় অনেকটাই ব্যথিত করছে সকলকে।