স্বাধীন বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী আজ!
১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের আত্মত্যাগের ইতিহাসে আজ পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ। এই সময়টায় রয়েছে নানা সংগ্রাম, আত্মত্যাগ, আবেগ-অনুভূতির ইতিহাস।
২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এছাড়াও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’- ও উদযাপিত হচ্ছে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ তে। দু'য়ে মিলে বাঙালি বিশেষ গৌরবের মাধ্যমে সময়টিকে উদযাপন করছে।
বাঙালি লড়াকু জাতি। রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের মাধ্যমে তারা ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা।১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ খ্যাত ঐতিহাসিক ভাষণ ও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন প্রভূত ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি।
এ ঘটনার পর ২৫ শে মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে এবং
২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। ওয়্যারলেস এবং বিশেষভাবে তৈরি বেতারযন্ত্রের কম্পনতরঙ্গে তা ছড়িয়ে যায় সারা দেশে। জাতি-ধর্ম – বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অস্থায়ী সরকারের অধীনে দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বিশ্বমানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের।
স্বাধীন বাংলার এই দিনটিতে জাতি আজ যথাযোগ্য গৌরবের সঙ্গে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে। তবে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশ এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আশা রাখি, খুব শীঘ্রই আমরা এই দূর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। এই মহামারি কাটিয়ে উঠে আমাদের দেশ একদিন একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এটাই প্রত্যাশা।