নাচের মঞ্চে ইরানী নারীর দল
ইরানে নারীদের চলাচলে অনেক বিধিবিধান মেনে চলতে হয়। এইতো মাত্র দুই বছর আগের কথা, যখন সে দেশে নারীরা স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা দেখতে পুরুষের বেশ ধারণ করতেন। তবে সেই দেশেরই বোশরা নামের এক অদম্য নারী গড়ে তুলেছেন নাচের দল। যা রীতিমত বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
দু’বছর আগেও ইরানের নারীদের স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা দেখতে যেতে হতো পুরুষ সেজে৷ সেই দেশেই নারীদের নাচের দল নাচের দল গড়েছেন বোশরা৷ ৩৩ বছর বয়সী এ নারীর ভালোবাসা নাচ। ছোটবেলায় এক বন্ধুকে নাচতে দেখে সেই যে নৃত্য প্রেমে পড়েছিলেন আর ছাড়তে পারেননি। অবসর সময়ে সেতারও বাজান এই নারী। বোশরা নাচ শেখার স্বপ্ন দেখলেও ইরানে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন প্রায় আকাশসম। তবে হার না মানা এই নারী নাচকে ভালোবাসে সেই অসাধ্যকে সাধন করে যাচ্ছেন দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে। তিনি পেশাদার নৃত্যশিল্পী হিসেবে শুধু নিজের পারফর্ম্যান্সেই মন দেননি। নাচ শিখতে আগ্রহীদের কথাও ভেবেছেন। ১০ বছর যাবৎ তাই নাচের প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন মেয়েদের। বর্তমানে তেহরানে মেয়েদের একটি নাচের দলও গড়ে তুলেছেন বোশরা। তার দল ব্যালে, ইরানের ঐতিহ্যবাহী সামা-সহ অনেক ধরনের নাচ পারফর্ম করে।
বর্তমানে তেহরানে মেয়েদের একটি নাচের দলও গড়ে তুলেছেন বোশরা। তার দল ব্যালে, ইরানের ঐতিহ্যবাহী সামা-সহ অনেক ধরনের নাচ পারফর্ম করে। করোনা মহামারির মধ্যেও তার এই কার্যক্রম থেমে থাকেনি। ভিডিও কনফারেন্সেও নাচ শিখিয়েছেন বোশরা। তবে অনেকের অনলাইন ক্লাসে মন ভরছিল না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাচের প্রশিক্ষণের জন্য নিজের ফ্ল্যাটটি ব্যবহার করছেন বোশরা।
তার নাচের দল শুধু ঘরেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ঘর থেকে বেরিয়ে দর্শক উপস্থিতিতে নিয়মিত পারফর্ম করছে বোশরার দল। তবে নাচের দল গড়ার জন্য যেমন ইরানের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়েছিল, তেমনি মঞ্চে পারফর্ম করার বেলায়ও নিতে হয়েছে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি। তবে অনুমতি দিয়েও ইরানের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বেধে দিয়েছে শর্ত। পুরুষরা তাদের এই পারফর্ম্যান্স দেখতে পারবেন না। দর্শক হিসেবে দর্শক সারিত থাকতে পারবেন শুধু মেয়েরাই।