নারী শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার উপায়
বিশ্বজুড়েই নারীরা নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়। যৌন হয়রানি, সহিংস আক্রমণ, শারীরিক শাস্তি, মানসিক নির্যাতন ও অবহেলা-এর যে কোনটা ঘটতে পারে তার সঙ্গে। বাংলাদেশেও নারীরা এমন অনাচারের শিকার হয়- ব্যক্তিগত বা সরকারি অফিসে, বাড়িতে, স্কুলে, রাস্তায়, কর্মস্থলে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়ে থাকে।
বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা এই হয়রানির শিকার বেশি হয়। নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টা উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন দেশের অপরাধীরা প্রতিনিয়তই নারীদের তাদের সহজ টার্গেট বানিয়ে থাকে। নিজ দেশ হোক কিংবা বাইরের দেশ, নিজ নিরাপত্তার খাতিরে নারীদের কিছু কিছু বিষয় অনুশীলন থাকা প্রয়োজন। যুক্তরাজ্যে, নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ৭ জনের মধ্যে একজন নারী তাদের শিক্ষাজীবনে গুরুতর শারীরিক নির্যাতন কিংবা যৌন হেনস্থার সম্মুখীন হোন। দেশে বা বিদেশে এরকম সমস্যার সম্মুখীন অনেক শিক্ষার্থীকেই হতে হয়। তবে এই অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে চাইলে কিছু দিকে নজর রাখলে এই হয়রানি অনেকটাই এড়িয়ে চলা সম্ভব।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা কিট যেমন ব্লেড, পেপার স্প্রে এবং টেকটিক্যাল ফ্ল্যাশলাইট এগুলো আপনার জরুরি পরিস্থিতিতে কাজে দিতে পারে। প্রথমেই শিখে নেওয়া উচিত, সেগুলো কখন এবং কীভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয়।
দিনে কিংবা রাতে, গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে আপনার সতকর্তা গ্রহণ করা উচিত। বিশেষ করে আপনি যখন একা থাকবেন, এমন মুহূর্তগুলোতে অতিরিক্ত সুরক্ষার বিষয়টি খেয়ালে রাখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সঙ্গে থাকা ব্যাগ কখনো যাত্রীর আসনে ফেলে রাখবেন না।
একা ভ্রমণে বেশ ঝুঁকি রয়েছে, তাই যতটা সম্ভব এগুলো হ্রাস করার চেষ্টা করুন। কোথাও ভ্রমণে গেলে পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুদের জানিয়ে রাখুন। কোথায় যাচ্ছেন এবং কীভাবে যাচ্ছেন তার বিস্তারিত বিবরণ তাদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
WalkSafe এবং Hollie Guard মতো অ্যাপ গুলোতে একের অধিক দরকারি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার বর্তমান অবস্থান এবং কর্মকাণ্ড শেয়ার করে জানানো আপনার কাছে যতটা লোভনীয়, ঠিক ততটাই অপরাধীদের জন্য আপনাকে খুঁজে পাওয়া সহজ ব্যাপার। কোন কিছু পোস্ট করার আগে কি কি তথ্য দিচ্ছেন, তা গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখুন। আপনার প্রোফাইল প্রাইভেসি যদি পাবলিক হয়ে থাকে, তাহলে অপরিচিত যে কেউ আপনার তথ্যগুলো দেখতে পাবে। সেক্ষেত্রে কোন বিষয়ের পরিকল্পনা কিংবা বিশদ আলোচনা লেখা থেকে বিরত থাকুন। ছবি কিংবা তথ্য শেয়ার করলে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।
বিদেশে অবস্থান করলে আশেপাশের কমিউনিটির সাথে যোগাযোগ রাখুন। নিজের একাধিক সার্কেলের সাথে যুক্ত থাকুন। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।