Skip to content

৮ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মঙ্গলের বুকে হারিয়ে যাবে এলিজা কার্সন

আঠারো বছর বয়সের এলিজা কার্সন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাসার কনিষ্ঠতম সদস্য। সব কিছু ঠিক থাকলে এলিজা হবে ২০৩৩ সালে মঙ্গলে যাওয়া পৃথিবীর প্রথম মানুষ।

এলিজা তার বাবার কাছে বড় হয়েছে। তার মা সম্পর্কে এলিজা কিছু জানেনা। সাত বছর বয়সে বাবা তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন আলবামার একটি স্পেস ক্যাম্পে। সেই ক্যাম্পের অভিজ্ঞতা তাকে এমনভাবে নাড়িয়ে দিলো যে তার ভাবনার জগতটাই বাকিসব শিশুদের থেকে তাকে আলাদা করে দেয়। এলিজার যখন নয় বছর বয়স তখন তার সঙ্গে দেখা হয় নাসা’র এক মহাকাশচারী সান্ড্রা ম্যাগনাসের সঙ্গে। এই নারী মহাকাশচারী তাকে জানিয়েছিলেন ছোটবেলাতেই তিনি মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। আর ছোট্ট এলিজাও মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন বুনতে থাকে। 

এলিজার যখন ৯ বছর বয়স তখন তার সঙ্গে দেখা হয় নাসা’র এক মহাকাশচারী সান্ড্রা ম্যাগনাসের। তখন এই নারী মহাকাশচারী তাঁকে জানিয়েছিলেন, “ছোটবেলাতেই তিনি মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।” তখন থেকেই ছোট্ট এলিজার মনে এই কথাটি পুরোপুরিই গেঁথে যায়, তাঁর চোখে তখন শুধু একটাই স্বপ্ন গাঢ় হয় তা হল, একবার মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ, সামনে থেকে মহাকাশকে দেখার সুযোগ। 

মাত্র ১২ বছর বয়সে এলিজা সবচেয়ে কম বয়সী হয়ে আলবামা, কানাডার কুইবেক ও তুরস্কের ইজমিরে নাসার তিনটি ভিন্ন স্পেস ক্যাম্পে অংশ নেয়। মহাকাশের বেসিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন মিশন কিভাবে পরিচালিত হয়, তা আয়ত্তে নিয়েছে এলিজা। এছাড়া মহাকর্ষ-শূন্য স্থানে চলাচল করার পদ্ধতি, ভারহীন স্থানে থাকার উপায়ও শিখেছে সে। অর্জন করেছে বিশেষ মুহূর্তে জরুরী সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা। রোবোটিকস বিষয়ে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি নিজে একটি রকেটও বানিয়েছে। নাসা’র থেকে তাকে একটি ‘কল নেম’ও দেয়া হয়েছে- ব্লুবেরি। এছাড়াও “মার্স ওয়ান” নামের এক বেসরকারি সংস্থা তাঁকে তাদের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করেছে।

যেহেতু সে মঙ্গলে গেলে আর ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা নেই নাসার সাথে সে একটি নিষেধাজ্ঞাপত্রে সিগনেচার দিয়েছে যেখানে তাকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হয়েছে, সে বিয়ে করতে পারবে না। কোন প্রকার যৌন সম্পর্ক কিংবা সন্তান ধারণের মতো কোনো কাজ করবে না সে। এছাড়া, অফিসিয়ালি নাসা ১৮ বছরের আগে কাউকে নভোচারী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ দেয় না। তবে এলিজার ক্ষেত্রে এ নিয়ম একটু ব্যতিক্রম করা হয়েছে। 

প্রথম থেকেই প্রতিষ্ঠানটি এলিজাকে মানুষের ভবিষ্যৎ বাসস্থান মঙ্গলে অভিযানের জন্য শক্ত সমর্থ করে তৈরি করতে চেয়েছে। ২০৩৩ সালে যখন মঙ্গল গ্রহে প্রথমবার মানুষ পাঠানোর অভিযান শুরু হবে, তখন এলিজার বয়স হবে ৩২, যা একজন নভোচারীর জন্য যথাযথ বয়স।

এলিজা কার্সন এর জীবন আমাদের অনুপ্রেরণা। সে আমাদের স্বপ্ন দেখতে শেখায়। সে বলেছে- ‘Always Follow Your Dream and Don't let Anyone Take it From You.

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ