Skip to content

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জরায়ু ক্যান্সার নিয়ে যত কুসংস্কার

জরায়ু ক্যান্সার নারীদের একটা জরায়ুতে হওয়া একটি রোগ। নামে ক্যান্সার হলেও স্বস্তির বিষয় হল চিকিৎসায় এটি নিরাময় করা সম্ভব। তবে নারীদের এই জরায়ু ক্যান্সার নিয়ে এখনো কিছু কুসংস্কার প্রচলিত আছে। যেমন:

 

অনেকেই ভাবেন জরায়ু ক্যান্সারের কোন কারণ নেই। কিন্তু বেশিরভাগ সার্ভিকাল ক্যান্সারই হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি), যৌন সংক্রমণ ভাইরাসের সংস্পর্শে  হয়ে থাকে। যদিও অন্যান্য অনেক কারণে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে, তবে তাতে ক্যান্সার হয় না। 

এমন ধারণাও আছে ভ্যাকসিন নিলে আর ক্যান্সারের ভয় নেই। তবে এইচপিভি ভ্যাকসিন শুধুমাত্র শতকরা ৮০ ভাগ নারীদের জরায়ু ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে। ১০০ ভাগ নয়। তবে নিরাপদ যৌন মিলন এবং ধূমপান না করলে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব । 

যেহেতু যৌন সংক্রমণ ভাইরাস থেকে জরায়ু ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। তাই অনেকে মনে করেন, অনেকদিন যৌন মিলন না করলে বা একজনের বেশি ব্যক্তির সাথে যৌন মিলন না করলে  সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নেই। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এজন্য রুটিন স্ক্রিনিং করানো জরুরী। 

প্রচলিত ধারণা বলে জরায়ু ক্যান্সার শুধুমাত্র বয়স্কদের হয়। এটা ঠিক নয়।  এইটা যেকোন বয়সে হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ৩৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। 

মানুষজন মনে করে ক্যান্সার হলে তো লক্ষণ থাকবেই। এই ভেবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেন না। কিন্তু অনেক সময় জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের প্রথমে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। এরপর যৌন মিলনের সময় ব্যথা, মাসিক ও স্বাভাবিক  সময়ের মাঝে রক্তপাত, মেনোপজের পরে রক্তপাত এসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ