Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে পিঠার আয়োজনে রাখুন ঐতিহ্যবাহী ভাঁপা পিঠা

ভাঁপা পিঠা একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা। ভাপা পিঠা ছাড়া শীতকাল যেন কোনোভাবেই জমে না। শীত আসলেই দেখা যায়  চারদিকে শুধু পিঠার আয়োজন৷ ঐতিহ্যগতভাবে এই পিঠা একটি গ্রামীণ নাশতা হলেও বিংশ শতকের শেষভাগে প্রধানত শহরে আসা গ্রামীণ মানুষদের খাদ্য হিসাবে এটি শহরে বহুল প্রচলিত হয়েছে। এটি এখন রাস্তার ধারে এবং দামি রেস্তোরাঁতেও দেখা যায়। চলুন এবার এই সুস্বাদু পিঠার রেসিপিটা জেনে নেই-

 

 

উপকরণ

 

১। ২ কাপ চালের গুঁড়
২। ১ কাপ খেজুর গুঁড়
৩। ১ কাপ নারিকেল কোরানো
৪। স্বাদ মতো লবণ
৫। পিঠা বানানোর বাটি
৬। ২টা ছোট টুকরো কাপড়
৭। একটি পাতিল
৮। একটি ছিদ্রযুক্ত ঢাকনি

 

প্রণালী

 

একটি পাত্রে চালের গুঁড়া , লবণ ও অল্প পানি দিয়ে ঝরঝরে করে ভালো ভাবে মাখতে হবে যেন দলা পাকিয়ে না যায়। খেয়াল রাখবেন ঝরঝরে হয় যেন। এরপর চালের গুঁড়া টা চালনি দিয়ে ছেঁকে নিন।

এরপর হাঁড়িতে পানি নিন।  হাঁড়ির উপর ছিদ্রযুক্ত ঢাকনিটি রেখে চুলায় বসিয়ে দিন।  চুলাটি খুব অল্প আঁচে রাখুন। ঢাকনির পাশে ছিদ্র থাকলে সেটা আটা বা কাপড় দিয়ে বন্ধ করে দিন। যাতে ভিতরের গরম ভাপ হাঁড়ির বাইরে বেরিয়ে না আসতে পারে।

 

তারপর ছোট বাটিতে ঐ মাখানো চালের গুঁড়ো নিয়ে তার মাঝখানে পরিমাণ মত গুড় আর কুরিয়ে রাখা নারিকেল  দিন। যারা মিষ্টি একটু বেশী পছন্দ করেন তারা গুড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারেন।

 

বাটির ওপরে অল্প চালের গুঁড়া দিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে বাটির মুখ ঢেকে ছিদ্রযুক্ত ঢাকুনির ওপর বাটি উল্টে তা সরিয়ে নিন।কাপড়ের মুখগুলো একসঙ্গে করে দিন। ২/৩ মিনিট অপেক্ষা করুন। পিঠাটি হয়ে গেলে পিঠার ওপর নারিকেল কোরানো ছড়িয়ে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ