Skip to content

৭ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ের আগে আরেকবার ভাবুন

বিয়ে হচ্ছে একটি মেয়ের জীবনের কাঙ্ক্ষিত একটি সময়, প্রতিটি মেয়েই ছোটবেলায় পুতুল বিয়ে খেলার মাধ্যমে নিজেকেও ধীরে ধীরে সেভাবে প্রস্তুত করে তোলে। বিয়ে নিয়ে মেয়েদের নানান ভাবনা, কি করবে কি পড়বে সেই এক হুলুস্থুল অবস্থা। বিয়ে যেহেতু অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় একটি মেয়ের জীবনে তাই অনেক কিছুই মাথায় রাখা উচিত। শারীরিক মানসিক সকল ক্ষেত্রে একজন কনের উচিত নিজেকে প্রস্তুত রাখা, সম্পূর্ণ নতুন একজন মানুষকে আপন করে নেওয়া। 

সারাজীবন যে মানুষটার সঙ্গে থাকতে চলেছেন তার সম্পর্কে জেনে নিতে হবে ভালোভাবে। দোষগুণ মিলিয়ে মানুষ, আর সংসার সুখের হয়  এই দুইজন মানুষের গুণেই। ব্যক্তি সংখ্যা যেহেতু দুই সবকিছু তাই মিলবে, এমনটি ভাবা বোকামি। দুজনের আলাদা দুটি সত্ত্বা। অভ্যাসেও থাকবে ভিন্নতা। কিন্তু বেশকিছু বিষয় আছে যেগুলো ঠিকঠাক না থাকলে তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।

 

সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা থাকলে

যেকোনো সিদ্ধান্তই আপনার উপর চাপিয়ে দেওয়ার মানসিকতা তার? আপনি কোথায় যাবেন, কি খাবেন, কতক্ষণ বাইরে থাকবেন, কোন জামা পরবেন, কোন বন্ধুকে সময় দেবেন কোন বন্ধুকে দেবেন না; মোদ্দাকথা, আপনার সম্পূর্ণ গতিবিধি নিয়ন্ত্রক হতে চান তিনি? যদি বলেন 'হ্যাঁ', তাহলে বলব, দ্বিতীয়বার ভাবাভাবি ছাড়াই ইস্তফা দিন। আর যাই হোক, এসব মানুষের সাথে সংসার করা অসম্ভব। এদের কাছে আপনার মূল্য নেই, একটা পুতুল ছাড়া তাদের দৃষ্টিতে আর কিছুই নন আপনি।

 

আত্নপ্রেমী হলে

মানুষের সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে নিজের জীবন। তা ভালো। তবে যদি তিনি সারাক্ষণ নিজের কথাই ভেবে যান, কোন বিষয়ে কথা উঠলে স্রেফ নিজের ব্যাপারে অনর্গল বকে যান, আপনার কথা শোনার কোন আগ্রহই জন্মে না তাহলে সাবধান হোন। এটি একধরনের স্বার্থপরতা! যেখানে আপনি গুরুত্বহীন সেখানে যাবার আগে দ্বিতীয়বার ভাবুন। সরাসরি কথা বলুন এহেন স্বভাব সম্পর্কে। শুধরাতে পারলে এবার এগুতে পারেন।

 

অন্যের সমালোচনায় মশগুল থাকলে

"আরে জানো, আজ অমুককে তমুক দারুণ শিক্ষা দিয়েছে। ব্যাটা নিজেরে কিছু একটা ভাবে। ওর মতো ফাউল দ্বিতীয়টা নাই…" সারাক্ষণ অন্যের সমালোচনায় মশগুল মানুষের অধিকাংশই পরশ্রীকাতর। এরা সারাদিন তক্কে তক্কে থাকে কখন কাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু করা যায়। এইসব অভ্যাস যাদের আছে, তারা সমাজের জন্যেও ক্ষতিকর। কথা বলে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে পারেন।

 

দায়বদ্ধতা এড়ানোর প্রবণতা থাকলে

তিনি আপনাকে পৃথিবীতে সবচাইতে বেশি ভালবাসেন! নিঃসন্দেহে চমৎকার ব্যাপার এটি। ভালবাসার পাশাপাশি থাকতে হবে দায়িত্ব পালনের মানসিকতা, সৎ সাহস। এসবের মাধ্যমেই মিলবে সম্পর্কের পূর্ণতা। সংসার মানে কমিটমেন্ট। ভালো থাকার, ভালো রাখার, ভালবাসার। তাই, দায়িত্ব নেওয়া অতি জরুরি। এখন সঙ্গী যদি আপনার প্রতি দায়বদ্ধ না হয়, গা ছাড়া ভাবে চলে, কর্মস্পৃহা না আসে তাহলে কথা বলার সময় এসে গেছে। দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা যাদের মধ্যে বিদ্যমান, তারা আর যা কিছুই বলুক, সংসার সঙ্গিনী এদের জন্য নয়।

 

অল্পতেই রেগে যাওয়ার অভ্যাস

কোন কথা মাটিতে পড়ার আগে রাগ মাথায় চড়ে, এমন মানুষের সংসারে অশান্তি সারাক্ষণ ঘুরে বেড়ায়। সবসময় খুঁত ধরতে প্রস্তুত থাকে এরা। উছিলা পেলেই হামলে পড়ে। ছোট ছোট বিষয়ে ঝগড়া বিবাদ লাগিয়ে দেয়। এমন স্বভাব থাকলে বুঝবেন, অতিরিক্ত দম্ভ তাকে গিলে খাচ্ছে। দম্ভের সামনে আপনার মর্যাদা তুচ্ছ। সরাসরি আলোচনা করুন, এর খারাপ দিক সম্পর্কে সঙ্গীকে বোঝান।

 

মাদকাসক্ত হলে

সঙ্গী যদি প্রচণ্ড মাদকাসক্ত হয়, তাহলে ভাবুন। মাদকাসক্তি সহজে যায় না। তবে মানুষ নয়, অভ্যাস মানুষের দাস। সেক্ষেত্রে, চেষ্টা করলেই পুর্নবাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। যদি ভালবাসেন, নিজের উপর আস্থা থাকে যে, আপনি প্রিয়জনকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পারবেন, পাশে থাকুন। দুঃসময়ে ভালবাসাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ