মুগ পাকন পিঠা
নতুন ধান, খেজুরের গুড়, চালের গুড়া, পাটালি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরণের পিঠা বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার। বিশেষ করে পৌষপার্বণ শীতকালে তো এর মেলা বসে যায়। বিভিন্ন ধরণের জনপ্রিয় পিঠার মধ্যে মুগ পাকন পিঠা অন্যতম যা তৈরি করা যায় অতি সহজেই।
তাই চলুন জেনে নিই মজাদার এই পিঠা বানানোর পদ্ধতি গুলোঃ
উপকরণ
১ কাপ মুগ ডাল
২ কাপ চালের গুঁড়ো
সামান্য লবণ
২ টেবিল চামচ ঘি
২ কাপ দুধ
পানি
সিরাপ তৈরির উপকরণ
দেড় কাপ চিনি
দেড় কাপ পানি
এলাচি
প্রস্তুতপ্রণালী
১। প্রথমে ১ কাপ মুগ ডাল ভেজে নিতে হবে যতক্ষণ না এর ঘ্রাণ বের হয়।
২। মুগডাল ভেজে নেওয়া হলে ভালােমতো ধুয়ে ২ কাপ দুধ,তিন কাপ পানি দিয়ে ভালাে মতো সিদ্ধ করতে হবে।
৩। ডাল সিদ্ধ হয়ে গেলে ভালো করে ঘুটে নিতে হবে।
৪। তারপর এতে ২ কাপ চালের গুড়ো,লবণ ও ঘি দিয়ে ঢেকে একদম কম আঁচে ৫ মিনিট ঢেকে নিয়ে জ্বাল দিতে হবে।এরমধ্যে আর নাড়তে হবেনা।
৫। এরপর ঢাকনা তুলে একটি কাঠি দিয়ে ভাল ভাবে সব একত্রে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে।
৬। এ পর্যায়ে কাই/খামির তৈরি করে নিতে হবে।
৭। এবার কিছুটা কাই নিয়ে মোটা রুটি বেলে ১ ইঞ্চি পুরুত্ব রেখে,রুটির উপর তেল মেখে খেজুর কাটা বা টুথ পিক দিয়ে পছন্দমতো আকারে ডিজাইন করে নিতে হবে।
৮। হালকা আঁচে ডুবো তেলে সবগুলো পিঠা এপাশ ওপাশ করে সোনালী করে ভেজে নিতে হবে।
সিরাপ প্রস্তুতপ্রণালী
১। দেড় কাপ চিনি,দেড় কাপ পানি,এলাচি মিশ্রিত করে সিরাপ তৈরি করে নিতে হবে।
২। গরম অবস্থায় পিঠা গুলো ২-৩ মিনিট সিরাপে রেখেই তুলে নিতে হবে।
সর্তকতা
১। অবশ্যই অল্প আঁচে পিঠা গুলো ভাজতে হবে নতুবা পিঠার ভিতর টা সঠিকভাবে রান্না হবে না।
২। কাই অবশ্যই ভাল করে মথে নিতে হবে ও রুটি বেলার সময় বাকি কাই নরম ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে যাতে উপরে শক্ত না হয়ে যায়।
৩। রেফ্রিজারেটরে রাখা হলে পিঠাগুলো ১ সপ্তাহ পর্যন্ত স্বাদে মানে অপরিবর্তনীয় থাকবে।
পরিবেশন
১। গরম গরম বা ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন দারুণ মজার এই পিঠা।