Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বসতভিটা ছাড়াও কৃষি জমিতে হিন্দু বিধবাদের অধিকার দিয়ে আদালতের রায়

যুগ যুগ ধরে নারীদের অবহেলা বঞ্চনার কথা আমরা শুনেছি। আবার এসব নারীদের অধিকার আদায়ে লড়াইয়ের দৃশ্যও আমরা দেখেছি। একসময় হিন্দু বিধবা মেয়েদের বিয়ের প্রথা ছিলো না। তারপর বিধবা বিয়ের প্রথা চালু হয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হাত ধরে। 

আবার কোনো কোনো বিধবা নারী স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তান স্নেহে স্বামীর ভিটা আঁকড়েই থেকে যেতে চান। আর তখনই আসে অধিকারের প্রশ্ন। আমাদের দেশে হিন্দু ও বৌদ্ধ নারীদের কোনো সম্পত্তির অধিকার ছিলো না। স্বামীর বাড়িতেও না, বাপের বাড়ীতেও না। তবে ৮৩ বছর পূর্বে ১৯৩৭ সালে হিন্দু বিধবা সম্পত্তি আইনে বিধবা নারীদের শুধু স্বামীর বসতভিটায় অধিকার দেওয়া হয়েছিল। স্বামীর বসত ভিটায় মেয়েদের অধিকার থাকলেও অনেক সময় তা পাওয়া সহজ হয়না। 

বসত ভিটা ছাড়াও নিজের সন্তান সন্ততি নিয়ে খেয়ে পরে বাঁচার জন্য অন্য সম্পত্তিরও প্রয়োজন থাকে। কিন্তু শত শত বছর ধরে এই হিন্দু বিধবা নারীরা তা পায়নি। খুলনায় গৌরদাসী নামে এক বিধবা নারী স্বামীর কৃষিজমিতে অধিকার দাবী করেছিল বলে তার দেওর ১৯৯৬ সালে আদালতে মামলা করেন। তাকে জমির অধিকার দেবে না বলে। তখন খুলনার জজ আদালতে বিধবাদের স্বামীর কৃষি জমিতে অধিকার দিয়ে রায় দেন। তখন এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। 

এর দীর্ঘদিন পর হাইকোর্ট হিন্দু বিধবা নারীদের স্বামীর কৃষি জমিতে ভাগ পাওয়ার অধিকার দিয়ে রায় দেন। এই রায়ে হিন্দু বিধবাদের স্বামীর সম্পত্তিতে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হল। এমনকি শত শত বছর ধরে যে বৈষম্য চলে এসেছে এবার হয়তো তার বেড়াজাল ভেঙে যাবে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ