Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়াবেটিস

একসময় ডায়াবেটিস রোগের সঙ্গে মানুষের খুব বেশি পরিচিয় না থাকলেও  বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই এই রোগটির সাথে ভলোভাবে পরিচিত। পুরো বিশ্বে দিনের পর দিন মারাত্মক আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

ডায়াবেটিস একটি ব্যয়বহুল রোগ। আর এই রোগ একবার হলে সেটা পুরোপুরি ভালো হয় না, তখন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে নিঃসন্দেহে বলা যায় আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ,  সব বয়সের মানুষই এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে টাইপ-১ বা ইনসুলিননির্ভর ডায়াবেটিস অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখের   ব্যাপার হচ্ছে ডায়াবেটিস আছে এমন রোগীদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ জানেন না যে, তার ডায়াবেটিস আছে। এজন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি খুবই জরুরি।

 যথাসম্ভব ডায়াবেটিস প্রতিরোধের চেষ্টা করতে হবে এক্ষেত্রে নিয়মিত হাঁটাচলা ও ব্যায়াম করতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া ও কোমল পানীয় বর্জন করতে হবে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ধূমপান ও তামাক সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। যাদের পরিবারে বাবা-মা বা নিকট আত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে তাদের ৪৫ বছরের পরে রক্তের গ্লুকোস পরীক্ষা করতে হবে।

বিশ্ব ডায়াবেটিস এর এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই গত ১৪ নভেম্বর সারাবিশ্বে পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস-২০২০’। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ছিলো —‘ডায়বেটিস-সেবায় পার্থক্য আনতে পারেন নার্সরাই’।  প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বাংলাদেশসহ প্রায় ১৭০টি দেশে এ দিবস পালিত হয়। 

 

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ডায়াবেটিস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টিই হচ্ছে  ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’-এর প্রধান লক্ষ্য। 

গত শুক্রবার এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি রাজধানীর শাহবাগ বারডেম হাসপাতালের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সমিতির অন্যান্য অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত অধিভুক্ত সমিতিগুলোও এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ