Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার প্রকোপে সংকটে পড়েছেন নারী পোশাক শ্রমিকরা

 

করোনার কারণে পুরো বিশ্বের অর্থনৈতিক খাত গুলোর চলমান চাকা প্রায় থেমে গেছে। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন এরমধ্যে। এতে গার্মেন্টস খাতের বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মোটা অংকে। 

 

তৈরি পোশাক শিল্পে বেশিরভাগ কর্মী নারী। করোনার কারণে গার্মেন্টসগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে অসহায়, নিম্নআয়ের পরিবারের যেসব নারী আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করেছিলেন তারা সেটুকু প্রায় হারিয়ে ফেলছেন। যার ফলে এসব অসহায় নারীদের হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির উপর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি তৈরি পোশাক রপ্তানি কারক দেশের উপর এক সমীক্ষা চালিয়ে এমনটাই জানান আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা। 

 

বাংলাদেশ ছাড়াও কম্বোডিয়া, লেসোথো, ভিয়েতনাম ও কেনিয়ার পোশাকশ্রমিকদের ওপর ঐ সমীক্ষা চালানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে চলতি বছরের প্রথমার্ধে এশিয়ার দেশগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমে গেছে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা সাময়িক বন্ধ ঘোষণার পথে হাঁটতে থাকে মালিকপক্ষ। পরবর্তী সময়ে কারখানা চালু হলেও অপেক্ষাকৃত কমসংখ্যক শ্রমিক দিয়েই কাজ করা হয়। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে গত বছর নাগাদ প্রায় সাড়ে ৬ কোটি পোশাকশ্রমিক ছিল, যা বিশ্বব্যাপী গার্মেন্টস খাতে কর্মরত শ্রমিকের চার ভাগের তিন ভাগ। এসব শ্রমিকের প্রায় ৮০ শতাংশই নারী শ্রমিক।

 

করোনার কারণে এসব নারীদের উপর হয়রানি ও বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। অনেকের বেতন কমে গেছে, চাকরি চলে গেছে। এতে নিজেদের মনের জোর যেমন কমেছে তেমনি কমেছে কন্ঠস্বরও। কর্ম না থাকায় অযাচিত বাড়ীর কাজের চাপও বেড়েছে।

 

কর্মসংস্থানের ফলে এসব নারীদের যে ক্ষমতায়ন বেড়েছিলো, যার ফলে আয়-ব্যয়ের সিদ্ধান্তে তাদের সম্মান এবং প্রভাবও বেড়েছিলো। ঘরের কাজে সেসময় পুরুষের সহযোগিতা ছিলো। করোনায় কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব দিকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। 

 

তবে এই পরিস্থিতিতে শুধু যে নারীশ্রমিকরা সংকটে পড়েছে তাই নয়। বরং অর্থনীতিতেও পড়তে পারে বিরাট ভাটা। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে দিকে জোর দিতে হবে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ