Skip to content

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাইফোঁটার আদি ইতিহাস

ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দেই আমার ভাইকে ফোঁটা। এই লাইনগুলোর মাধ্যমের প্রতি বছর বোনেরা তাদের ভাইদের মঙ্গল কামনায় ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে থাকেন। 

প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠিত হয়। স্থান ভেদে রয়েছে ভাইফোঁটার অনেক নাম। বাঙালিদের 'ভাইফোঁটা', হিন্দিভাষীদের কাছে 'ভাইদুজ', মহারাষ্ট্রে 'ভৌ বিজ', দক্ষিণ ভারতে 'যমদ্বিতীয়া' আবার নেপাল ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-এ 'ভাইটিকা' নামে পরিচিত। হিন্দুধর্মালম্বীরা ভাইফোঁটা উৎসব পালন করে থাকেন কিন্তু এই প্রচলনের ইতিহাস অনেকেরই অজানা। 

কথিত আছে, দেবতা যম এইদিনে তাঁর বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। সূর্য দেবের দুই ছেলে-মেয়ে যম এবং যমুনা। অনেকদিন দুই ভাই বোনের দেখা না হওয়ায় একদিন যমুনার খুব মন খারাপ হয়। তাই যমুনা তাঁর ভাই যমকে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। বোনের ডাকে যম সাড়া দিয়ে বাড়িতে চলে আসে। দেবতা যমের বাড়িতে ফেরার খুশিতে যমুনা তাঁর ভাই মঙ্গল কামনায় যমকে ফোঁটা দেয়। বোনের ফোঁটা পেয়ে যম তাকে আশীর্বাদ স্বরূপ বলেছিলেন, যে ভাই তার বোনের কাছ থেকে ফোঁটা নেবে তাদের নরক যাত্রা থেকে মুক্তি পাবে।

ভাইফোঁটার আরও একটি কাহিনী কথিত আছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অসুর নরকাসুরকে বধ করার পর তাঁর বোন সুভদ্রাকে দেখতে গিয়েছিলেন। বোন সুভদ্রা ভাইয়ের আগমনে তাকে ফুল এবং মিষ্টির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান সেই সাথে তিলক পরিয়েছিলেন সেখান থেকেই ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়। 

ভাই-বোনের মধুর সম্পর্কের মধ্যেও মারপিঠ, ঝামেলা হয়ে থাকে তারপরও সকল ভাই বোন এইদিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকে। সকল বোনেরা ভাইফোঁটার দিনে ফোটা দিয়ে তাদের ভাইয়ের মঙ্গলকামনা করে থাকেন।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ