ঘুরে আসুন কুমিল্লায় লালমাই পাহাড়ে উদ্ভিদ উদ্যান
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের ময়নামতি জাদুঘরের সন্নিকটে সালমানপুর নামক স্থানে অবস্থিত লালমাই উদ্ভিদ উদ্যান। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ১৭ একর জমিতে নির্মিত হয় উদ্যানটি। বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক উদ্ভিদ রয়েছে উদ্যানটিতে। যার মধ্যে বিরল প্রজাতির অশোক, অর্জুন, আগর, আমলকি, কনক, কাঞ্চন, বনপেয়ারা, খাটজারুল, গর্জন, গোলাপজাম, চন্দুল, তুন, ঢাকিজাম, তেলশুর, নাগেশ্বর, নাগলিঙ্গম, বাসক, বৌদ্ধনারকেল, বৈলাম, মহুয়া, শরতীলেবু, সফেদা, সজিনা, সাতকরা, সিভিট, হরিতকি, জিলসহ আরো নানান প্রজাতির উদ্ভিদ।
উদ্যানটি ঘুরে দেখা যায়, পর্যটকদের জন্য পাহাড়ের চূড়ায় বিশ্রাম নেয়ার জন্য আসন তৈরি করা হয়েছে। যেখান থেকে পুরো উদ্যানের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। ভেষজ উদ্ভিদের পাশাপাশি ফুলের বাগান রয়েছে। বিশেষ করে উদ্যানে নানান প্রজাতির গোলাপ, জারুল, সোনালু, বকুল, টগর ফুলের গন্ধে মোহিত হতে হয় সবাইকে। ফুলের উপর প্রজাপতি মৌমাছির উড়াউড়ি মিলিয়ে এক অপূর্ব প্রকৃতি নজর কাড়বে পর্যটকদের।
এক দিকে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য অন্যদিকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ চেনা জানা যাবে। কোন গাছে কি ওষুধ রয়েছে, কোন গাছ কখন ফুল দেয়, কখন ফল দেয়। উদ্যানের এমন সব বিস্তারিত তথ্যও উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে বোর্ডে লিখা রয়েছে। এত বিরল প্রজাতির উদ্ভিদের কারণে উদ্যানটি হয়ে উঠবে শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণার ক্ষেত্র। পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য প্রকৃতির মধ্যে অবসর কাটানোর সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। যে কজন দর্শনার্থী এসেছেন উদ্যানে ঘুরতে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আজম মাহমুদ, সুবায়াত শিরিন, মাসুম মল্লিক বাসসকে জানান, লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে নানান প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এখানে সৃজন করা উদ্ভিদ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন বিপন্ন প্রায়। তাই শিক্ষা ও গবেষণার জন্য নিশ্চয়ই লালমাই উদ্ভিদ উদ্যান হতে পারে এক বিশাল ক্ষেত্র।
উদ্যানের প্রবেশ দ্বার থেকে শুরু করে ঘুরে দেখার জন্য নানান আয়োজন করা হয়েছে। পাহারের চুড়ায় আসন তৈরি করা হয়েছে। একটি লেক তৈরি করা হয়েছে। তাই অবসর কাটানোর জন্যও একটি উত্তম স্থান হিসেবে বিবেচিত হয় লালমাই উদ্ভিদ উদ্যান।