‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০১৯’ অনুষ্ঠানে দেশের দশ কৃতি নারীকে সম্মাননা
ফারাহ দোলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, অনন্যার সাথে আমার সম্পর্কটা বেশ ব্যক্তিগত। দেশ যখন প্রচণ্ড রকমের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলো, সেই রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের সময় আমার প্রাপ্তিতে যুক্ত হয় অনন্যা শীর্ষ দশ ২০০৭ সম্মাননা। রাজনীতিতে এই সম্মাননা গ্রহণ করে ঋদ্ধ হয়েছিলাম সেই সময়টাতে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বয়ং একজন অনন্যা। ১৯৯৬ সালে রাজনীতিতে তিনিও অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা গ্রহণ করেছিলেন।
গত ৩ দশক ধরে এক মুহূর্তের জন্যেও অনন্যা থামেনি, কারণ অনন্যাকে এগিয়ে নিয়ে চলছেন একজন অনন্যা। বহু নারীকে অনন্যা করে তোলা মানুষ, দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। তাঁর প্রতি আমার আন্তরিক অভিবাদন, শুভকামনা এবং সতত শ্রদ্ধা।
সভাপতির বক্তব্যে পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, নারী-পুরুষ মিলে কাজ করলেই আমরা একটি সুন্দর সমাজ পেতে পারি, একটি সুন্দর দেশ পেতে পারি। আপনাদের সবাই নারীদের সম্মান করবেন, নারীকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেবেন। নারী-পুরুষ এক সাথে কাজ করেই আমরা একটি অগ্রসর সমাজ ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে পারবো।
এ বছর যারা 'অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০১৯' এ ভূষিত হলেন তারা হলেন, শিক্ষায় প্রতিভা সাংমা, সমাজসেবায় শ্রীমতি সাহা, অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনে হাজেরা বেগম, অনুপ্রেরণায় ফাল্গুনী সাহা, চিত্রকলায় ফরিদা জামান, সাংবাদিকতায় সুমনা শারমিন, নারী সংগঠক হিসেবে ইশরাত খান মজলিশ, ক্রীড়ায় ইতি খাতুন, উদ্যোক্তা হিসেবে নাসিমা আক্তার নিশা এবং সঙ্গীতে এফ মাইনর।
প্রসঙ্গত, বিগত প্রায় তিন দশক ধরে পাক্ষিক অনন্যা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ও প্রতিষ্ঠিত নারীদের স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে নারীর অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, অর্থনীতি, অভিনয়, সঙ্গীত, খেলাধুলা, শিক্ষা, চিকিৎসা, মুক্তিযুদ্ধ, সমাজ কল্যাণ তথা আইন, মানবাধিকার, ব্যবসায় উদ্যোগ, রাজনীতি, সাংবাদিকতা প্রভৃতি অঙ্গনে যে সব নারী উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন তাদের কর্ম সাধনার স্বীকৃতি স্বরূপ এই শীর্ষদশ সম্মাননা।