ঈদের পরবর্তী জীবনযাপনে আনুন ভিন্নতা
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে পরিবারের সবাই একসঙ্গে সময় কাটানো। সেইসঙ্গে ঈদ মানে জমপেশ খাওয়া-দাওয়া আর শরীরের ওপর বাড়তি চাপ। শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগের দেখা পাওয়াও এ সময় অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঈদ নিয়ে আমাদের জীবনযাপনে যে অনিয়ম আসে, তা সমন্বয় করতে ঈদের পরে জীবনযাপনেও বেশ কিছু ভিন্নতা নিয়ে আসা জরুরি। যেমন
খাদ্যতালিকায় বেশি শাকসবজি ও ফল রাখুন:
ঈদ উপলক্ষে সাধারণত খাদ্যতালিকায় মাছ-মাংস ও মশলা জাতীয় খাবার বেশি রাখা হয়। তাই ঈদের পরে চেষ্টা করুন খাদ্যতালিকা থেকে মাছ-মাংস কমিয়ে শাকসবজি ও ফল বেশি রাখার। ফল এবং শাকসবজিতে থাকা ফাইবার শরীরকে আর্দ্র রাখতে ভূমিকা রাখে। আপনি চাইলে মাছ-মাংসের সাথে প্রচুর সালাদও খেতে পারেন।
শরীরচর্চা করুন:
যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, ঈদের সময়টাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিরতি চলে আসে। অনেকে তো আবার রোজার শুরু থেকেই শরীরচর্চা বন্ধ করে দেন। তাই ঈদের ছুটি শেষে যত দ্রুত সম্ভব শরীরচর্চা শুরু করুন এবং এ সময়ে শরীরচর্চায় কিছু ভিন্নতাও আনতে পারেন। যাদের আগে থেকে শরীরচর্চার অভ্যাস নেই তারাও নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। এক্ষেত্রে কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ বেছে নিতে পারেন।
প্রচুর পানি পান করুন:
ঈদের সময় বিভিন্ন ভারী খাবারের পর সফট ড্রিংকস খাওয়া হয়, খুব একটা পানি পান করা হয়না। তাই ঈদের পরে দিনে পরিমাণ মতো পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। খাওয়ার আগে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটা উপকার বয়ে আনবে। এক্ষেত্রে বাড়ির ছোট-বড় সবাই যেনো পরিমাণমতো পানি পান করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঈদের পর ডায়েট:
ঈদ উপলক্ষে যেহেতু অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা হয় আবার ওজনও বেড়ে যায়, তাই ঈদের পর ডায়েটে কিছু নিয়ম মেনে চললে উপকার পাওয়া যায়। তাই একটি চার্ট তৈরি করে নিন, কোন বেলায় কি খাবেন, কতটা খাবেন সে বিষয়ে।
অনন্যা/এসএএস