Skip to content

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদে যেভাবে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। বছরে দুটি ঈদ। দুই ঈদ কাটে দুইভাবে। আর কোরবানির ঈদের একটি বিশেষ আকর্ষণ খাবার-দাবার। প্রত্যেক বাড়িতেই কমবেশি করা হয় রকমারি খাবারের আয়োজন। আর সবধরনের খাবারেই থাকে গরুর মাংসের আধিক্য। তবে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হতে পারে আমাদের ক্ষতির কারন৷ তাই ঈদের খাবার গ্রহণেও হতে হবে সচেতন। খাবারে ক্যালরি রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণে।

ঈদের খাবার শুধু বাহারি হলেও চলবে না, হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত ও গুণগতমানসম্পন্ন। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে ফ্যাট ও ক্যালরির দিকে। পরিবেশনের জন্য তৈলাক্ত খাবারের পরিবর্তে রাখতে পারেন স্বাস্থ্যকর ফলমূল কিংবা সবজি জাতীয় খাবার।

ঈদের খাবার মেন্যুতে অনেকেই মুরগির রোস্ট, রেজালা কিংবা কোরমা করেন। এক্ষেত্রে মুরগিকেনার সময় কিনলে ফ্যাটের পরিমাণ কমে যাবে। এছাড়াও রোস্টের জন্য মুরগীর পিস ৪টা না করে ৮টা করতে পারেন। তাহলে ক্যালরি ও প্রোটিন দুটোই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

রেজালার থেকে কোরমায় মশলা কম লাগে। ফলে এতে ক্যালরির পরিমাণও কম থাকে। তাই রেজালার পরিবর্তে কোরমা তৈরি করতে পারেন। ঈদে শুধু মাংসের রেসিপিটাই বেশি করা হয়ে থাকে। নতুনত্ব আনতে ডিমের কোরমাও করতে পারেন। এতে ফ্যাট ও ক্যালরিও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

ঈদে পোলাও, বিরিয়ানি কিংবা খিচুড়ি যেটাই হোক নজর রাখবেন ক্যালরির দিকে। তেল বা ঘি ব্যবহারের উদ্ভিজ্জ তেলকে বেশি প্রাধান্য দিন। এছাড়াও পরিবেশনের সময় ব্যবহৃত বাদাম, কিসমিস, বেরেস্তা ইত্যাদি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এতে ক্যালরির পরিমাণ কিছুটা কমে যাবে।

এছাড়াও ঈদের সকালটা শুরু হয় মিষ্টিমুখ দিয়ে। তাই মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরির আগে অবশ্যই ক্যালরি এবং ফ্যাটের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। খাবারে চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করতে পারেন। খাবার পরিবেশনের সময় মাওয়া, ঘন দুধ, মোরব্বার পরিবর্তে বিভিন্ন ফলমূল ব্যবহার করলে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কমে যাবে।

আমরা ভোজনরসিক বাঙালিরা সাধারণত কোরবানির ঈদে টানা কয়েকদিন এক নাগাড়ে গরুর মাংস খেয়ে থাকি। এ কাজ ভুলেও করা যাবে না। ঈদের পুরো দিনেই যেহেতু ভরপুর খাওয়াদাওয়ার আমেজ থাকে তাই সেদিনটিই শুধু গরুর মাংসের জন্য রাখুন এরপর আবার ৩-৪ দিন পরে একবার গরুর মাংস খেতে পারেন। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে সপ্তাহে দুই দিন গরুর মাংস খাওয়া নিরাপদ।

ঈদে খাবার সম্পর্কে সচেতনতা দরকার। কারণ অতিরিক্ত খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই, সুস্থ থাকতে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করুন।

অনন্যা/এসএএস

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ