যৌন হয়রানি প্রতিরোধ দিবস: শেকৃবি আঠারো প্রভার আলোচনা সভা
আজ ১৩ জুন, দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ দিবস। রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্যা ‘আঠারো প্রভা’ দিবসটি পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে আঠারো প্রভার সদস্যরা। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্বরে আঠারো প্রভার সদস্যরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহ্বান করেন। এছাড়া নারীদের অধিকার নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করা পাক্ষিক অনন্যা ম্যাগাজিনের ভূমিকা তুলে ধরেন।
পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গোল বৈঠক করেন আঠারো প্রভার সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি আঠারো প্রভার কার্যকরী কমিটির সদস্যরা। শেকৃবি আঠারো প্রভার আহ্বায়ক নাজমুন নাহার বলেন, ‘নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে পাক্ষিক অনন্যা, দীর্ঘ সময় ধরে অনন্যা নারীদের হয়ে কথা বলে আসছে। নারীদের উৎসাহ দিতে, সাহস দিতে, এগিয়ে চলতে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। আজ যৌন হয়রানি প্রতিরোধ দিবসে আমাদের একটিই কথা, কোথাও যৌন হয়রানি দেখলে বা আমরা শিকার হলে তা প্রতিহত করব। নীরবে সহ্য করব না। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।’
আঠারো প্রভার আহ্বায়ক আরও বলেন, যৌন-হয়রানি নারীর জন্য অত্যন্ত অপমানের, লজ্জার, ঘৃণার। একা চলাফেরার সময় অধিকাংশ নারীই যৌন-হয়রানির শিকার হয়ে থাকে। গণপরিবহনে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। অধিকাংশ নারীই চালকের সহকারী কিংবা পুরুষ যাত্রীদের আপত্তিকর স্পর্শের শিকার হন প্রতিনিয়ত। সমাজের সবার সচেতনতাবোধ উদয় হবে, এটাই প্রত্যাশা করছি।’
সদস্য সচিব সিরাজুম মুনিরা তিথি বলেন, ‘যৌন-হয়রানি বর্তমানে মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। পারিবারিক সচেতনতাই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে। আমাদের জন্মের পর প্রথম শেখার জায়গা পরিবার। যেখান থেকে সুশিক্ষা না পেলে পরবর্তী সময়ে মানুষ এসব অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। সন্তানদের দিকে বাবা-মায়ের সঠিক নজর থাকলে তাদের বিপথগামী হওয়ার প্রবণতা রোধ করা সম্ভব।’
সদস্য মাইশা মালিহা কণা বলেন, ‘সবার উচিত নারীদের প্রতি সম্মান দেখানো। নারীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুরুষদেরই নেওয়া উচিত। ভুক্তভোগীদের প্রতিবাদে অনীহা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না পাওয়া, অসচেতনতা, নারীর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব সহ নানা কারণে এই সমস্যাকে প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে না। সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যমে আরও বেশি প্রচার প্রচারণা করা দরকার। তারা নানারকম প্রচার-প্রচারণা মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে পারে।’
অনন্যা/ এআই