পিরিয়ডে স্বাস্থ্য সচেতনতা
একজন নারীর জীবনে পরিবর্তন আসে নানানভাবে। কখনো শারীরিক পরিবর্তন আসে, কখনো মানসিক পরিবর্তন। তেমনি নারীদের বয়ঃসন্ধিকালের একটি বিশেষ পরিবর্তন হলো পিরিয়ড বা মাসিক। প্রতিটি মেয়ের জন্যই এটি একটি সাধারণ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর সব নারীর মধ্যেই এই পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু আমাদের দেশের নারীরা এখনো মাসিকের ব্যাপারে সচেতন নয়। একরকম খাম-খেয়ালি করেই কাটিয়ে দেয় মাসের নির্দিষ্ট কয়েকটা দিন। এর ফলে একটা সময় দেখা দেয় নানা রকমের সমস্যা।
পিরিয়ড চলার সময়ে প্রয়োজন বাড়তি যত্নের। কারণ এসময় পেটব্যথা, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা, মানসিক অবসাদ কিংবা বিরক্তিভাব দেখা দিতে পারে। তাই মাসের ওই কয়েকটা দিন স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব সচেতন থাকতে হবে।
মাসিকের সময় একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করতে হবে। কারণ দীর্ঘসময় একই ন্যাপকিন ব্যবহারে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এসময় খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এছাড়া মাসিকের সময় কাপড়ের পরিবর্তে স্যানিটারি ন্যাপকিন বা মেনস্ট্রুয়াল ক্যাপ ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
পিরিয়ডে যতটা সম্ভব পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। এর পাশাপাশি প্রচুর পানিও পান করা জরুরি। খেয়াল রাখতে হবে, যেন এ সময়ে পেটে কোনোরকম আঘাত না লাগে। কারণ মাসিকের সময় জরায়ু অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় থাকে।সামান্য আঘাতেও মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
পিরিয়ডের সময় হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। যার ফলে মানসিক পরিবর্তনও ঘটে। তাই ওই সময় কোনোকিছুতে একেবারে ভেঙে না পড়ে শক্ত থাকতে হবে। এছাড়া, ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
পিরিয়ডের সময় নিয়মিত গোসল করতে হবে। তবে এসময় যেহেতু জরায়ু উন্মুক্ত অবস্থায় থাকে, তাই পুকুরে গোসল না করাই ভালো। এছাড়া, তখন চুলের গোড়া আলগা হয়ে লোমকূপ উন্মুক্ত হয়ে যায়। তাই চুলে শ্যাম্পু না করাই ভালো। আর পিরিয়ডকালীন যেকোনো সমস্যায় দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
পিরিয়ডের সময় নারীর খেয়াল রাখা ও যত্ন নেওয়া উচিত। যেন নারী শারীরিক ও মানসিক উভয়ভাবেই ফিট থাকতে পারে।
অনন্যা/এসএএস