সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হলে যা করবেন
বর্তমান যুগটা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ । বিশ্বের অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা রয়েছে অনেক। আর এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকেই নিজেদের ছবি, স্ট্যাটাস বা ভিডিও পোস্ট করে থাকেন। তবে অনেক সময় এতে ট্রলের শিকার হন অনেকে। সম্প্রতি সময়ে সামাজিক মাধ্যমে একে অপরের বিভিন্ন বিষয়ে ট্রল করা একটি নতুন ব্যাধি বলা যেতে পারে। যারা ট্রল করছেন তারা এতে মজা পেলেও যিনি ট্রলড হচ্ছেন তারা এতে মানসিকভাবে প্রচণ্ড ভেঙে পড়েন। ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি-ভিডিও থেকে শুরু করে কোনো কিছুই বাদ যায় না, বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করা। আর তাতেই অনেকের চক্ষুশূল হতে পারেন। আপনাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করতে পারে কেউ কেউ।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের বিভিন্ন বিষয়ে ট্রল করা যেন সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। ট্রল একটা সীমারেখা পর্যন্ত মানানসই। কিন্তু সীমা অতিক্রম করলে অনেকেই সামলাতে পারেন না। তখন এসবের প্রভাব ব্যক্তিগত জীবনে পড়তে শুরু করে। ট্রলের অন্যতম বড় প্রভাব পড়ে একাগ্রতা ও মনঃসংযোগে। আর সোশ্যাল সাইটে যেহেতু মন্তব্যের কোনও সময়সীমা থাকে না, তাই দেখা যায় একই পোস্টের মন্তব্য চলতেই থাকে অবিরাম।কাজের ফাঁকে মন ছুটে যায় সেই মন্তব্যগুলোর দিকে। এগুলোতে যেমন মনের ক্ষতি হয়, তেমনি মনোযোগেও সমস্যা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রলের শিকার হলে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল সংস্কৃতি নতুন কিছু নয়। তবে এর থেকে সমাধানেও উপায় রয়েছে-
ইগনোর স্ট্র্যাটেজি
অনেক সময় ট্রলিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হয় বিরক্ত করা বা আপনার থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়া। তাই ট্রলকে গুরুত্ব না দেওয়া অনেক সময় সবচেয়ে ভালো উত্তর হতে পারে। সুতরাং, ইগনোর করাই হতে পারে সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ। প্রতিক্রিয়া না দিলে ট্রলিং করা ব্যক্তি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। যদি কেউ বারবার বিরক্ত করে বা অযৌক্তিকভাবে ট্রল করে, সেই ব্যক্তিকে ব্লক বা রিপোর্ট করতে পারেন।
আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা
ট্রলিং বা নেতিবাচক মন্তব্য আপনার আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন যে আপনার মূল্যবানতা শুধু অন্যের কথায় নির্ভর করে না। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং নেতিবাচকতা এড়িয়ে চলুন।
পেশাদার সহায়তা নেওয়া
যদি ট্রলিং বেশি সিরিয়াস হয় বা মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে পেশাদার কাউন্সেলিং বা সাইকোলজিস্টের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তারা মানসিক চাপ মোকাবেলায় আপনাকে গাইড করতে পারবে।
হিউমার ব্যবহার করা
কোনো প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে নিজেকে সময় দিন এবং উত্তেজনা কমান। ট্রলকে গুরুত্ব না দেওয়া এক ধরনের শক্তি। কখনও কখনও ট্রলের উত্তরে বুদ্ধিমত্তা ও হিউমার দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো ট্রলিংয়ের প্রভাব কমাতে পারে। তবে এটি খুব সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে, যাতে তা অপমানজনক না হয়ে যায়।