শুভ্র রঙে বিয়ের বসনে
সময়টা কেমন অদ্ভুত! বিয়ের আয়োজনে সাদা পোশাক অবশ্য পশ্চিমা দুনিয়ায় এত অবাক করা কিছু নয়। তবে উপমহাদেশে বিয়ে মানেই লাল আর রঙের ঠাক-ঠমক। সাদা পোশাক অবশ্য এখানে ঠিক বিয়ের পোশাক নয়। সাদাকে নিয়ে যে ভাবনাটা সমাজে ছিল সেটি একেবারেই পালটে গেছে। সাদা বলতে একেবারে নিট সাদা না। সম্প্রতি বিয়েতে প্যাস্টেল শেড আর আইভরি অনেক ট্রেন্ডিং। অনেক ভেবেচিন্তে তারকারা বিয়েতে এই রঙেই নিজেদের সাজাচ্ছেন।
সম্প্রতি সোনাক্ষী সিনহার বিয়ের পর বিষয়টি আবার ভিন্ন মোড়কে আলোচনায়। এবারই কি তিনি প্রথম? তা তো নয়। বরং আরো অনেক বলিউড তারকারাও তা অনুসরণ করেছেন। শুরু করেছেন বিয়েতে নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ড। এই নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ড আসলে কেমন সেটাও তো বোঝা জরুরি।
সোনাক্ষী সিনহার বিয়ে দিয়েই শুরু করা যাক
বিয়ের পোশাক কেমন হবে তা নিয়ে জল্পনা আর কল্পনাটা শেষ হচ্ছিল না। সবাই ভেবেছিলেন লালই হয়তো হবে। তবে তা হয়নি। শ্বেতশুভ্র শাড়িতেই বিয়ের আসরে এলেন। স্নিগ্ধ, বাহুল্য নেই শরীরে। একদম সাবলীল ভঙ্গি তার। শাড়িতে চিকনকারি নকশা। শাড়ির সঙ্গেই মিলিয়ে চিকন হাতার ব্লাউজ। গলায় কুন্দনের একটা চওড়া নেকলেস। খোঁপাতেও সাদা ফুল। ছিমছাম সাজ যাকে বলে। অত ভারী নয়। তবে একেবারে কম তো নয়। নতুন এই ট্রেন্ড অনেকেরই মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। নিজেদের বিয়েতেও অনেকে নতুন এই সাজের একটা অনুকরণ করতে পারেন।
সোনাক্ষী তো একা নন, আলিয়া ভাটও ছিলেন
আলিয়া ভাটের বিয়েটা ছিল মহা ধুমধামের। পোশাক-শিল্পী ছিলেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। অত আড়ম্বরে যাননি। আইভরি রঙের অরগ্যাঞ্জা শাড়ি বাছাই করেছিলেন। গোটাপাট্টির কারুকাজের বদলে শাড়িতে এবং হাতে বোনা টিস্যু ওড়নায় ছিল সোনালি জরি ও চুমকির কাজ। সেই সুতোর টানে বিয়ের প্রজাপতি ফুটে উঠেছিল আলিয়ার লেহেঙ্গায়। বিয়ের দিন আলিয়াকে আইভরি রঙের শাড়ি পরতে দেখে অবশ্য অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য করেন। বধূর এই বেশ অনেকেই ভালো চোখে দেখেননি। তবে আলিয়ার এই লুক প্রকাশ্যে আসার পর বিয়েতে আইভরি রঙের পোশাক বেছে নিতে শুরু করেন অনেক কনেই। সে ট্রেন্ড এখনো আছে বেশ।
পরিণীতা চোপড়াও তো নজর কেড়েছিলেন
সাদা ঠিক নয়। সোনালী-আইভরি লেহেঙ্গা। লেহেঙ্গা জুড়ে সিরোস্কি স্টোনের কারুকাজ। গলায় হীরে, পান্না এবং অনন্য পোলকি পাথরের কারুকাজ করা চওড়া নেকপিস। মাথায় স্টোনের টিকলি। কানে কানপাশা। তার পুরো সাজেই যেন আলিয়ার বিয়ের সাজের ঝলক দেখতে পেয়েছিলেন নেটাগরিকরা। পার্থক্য ছিল ওড়নার কারুকাজে। সোনালি ভেল-এর পিছনে দেবনাগরী হরফে লেখা ‘রাঘব’। মণীশ জানিয়েছিলেন, এই ওড়নার কারুকাজ পুরোটাই হাতে করা। ‘বদলা’ কারুকাজ দিয়ে বোনা হয়েছে রাঘবের নাম।