কোথা থেকে এলো নেইলপলিশ
সাজসজ্জার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ নেইলপলিশ। নারীরা বিভিন্ন রঙের নিজের নখকে রাঙাতে ভালোবাসে এবং সেই ভালোবাসা থেকে নানান ধরনের নেইলপলিশ এবং নিজের হাতের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলতে নেইলপলিশ পরে থাকে নারীরা।
নখে নানান ধরনের সৌন্দর্য চর্চা করার জন্য অনেক ধরনের অনুষঙ্গ বের হয়েছ। যেমন নেইল এক্সটেনশন করা, যা সাত দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। নখের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এবং প্রতিদিন নেইলপলিশ করার ঝামেলাটা এড়ানোর জন্যই এই কাজ করা হয়।
তবে যাই করা হোক না কেন এক কথায় নেইলপলিশ দিয়েই রাঙানো হয়।
নেলপলিশ নখের সৌন্দর্যে এক অন্যরকম মাত্রা তৈরি করে।
তবে যাই হোক জানেন কি? কোথা থেকে এলো এই নীল পলিশ?
ঐতিহাসিকবিদদের মতে, ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বা তারও আগে চীনে নখ সাজানো প্রথম শুরু হয়। অবশ্য সে সময় কেবল রাজবংশের মানুষেরাই এটি ব্যবহার করত। শুরুতে শুধুমাত্র সোনালি-রূপালি রং ব্যবহার করা হতো পরে কালের বিবর্তনে নানান রং জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
প্রাচীন ব্যাবিলনের সৈন্যরা নখ রাঙাত বলে জানা যায়। ব্যাবিলোনের যোদ্ধাদের নখ মরে যাচ্ছিলো, তাই তারা নখ ভালো রাখার জন্য নখ রাঙাতো। এ কাজে তারা অবশ্য বিভিন্ন সবজি ও মেহেদির রং ব্যবহার করত।
এরপর, ১৮ শতকের শেষের দিকে নেইল পলিশ আধুনিক শিল্প ইউরোপের ধনীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়ায়। ওই সময়েরই শেষ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও নেইল পলিশের ব্যবহার শুরু হয়। এবং ১৯ শতকের গোড়ার দিকে প্যারিসে প্রথম খোলা হয় ‘নেইল সেলুন’।
একসময় , রঙের বৈচিত্র্য নারীদের সামাজিক অবস্থানের তারতম্য নির্দেশ করত। তবে সময়ের আবর্তে এখন এটি সাধারণ নারীদের অপরিহার্য সৌন্দর্য-উপকরণ হয়ে গিয়েছে।
২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেইল পলিশ ব্র্যান্ড ইসসি ১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা শুরু করে নেইল পলিশ দিবস হিসেবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই দিবসটি পালনে অনেকেই সাড়া দেয়।
মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর জন্যই যে কোন দিবসের সারা তুলনামূলক বেশি দেখা যায়।
তবে যারা নেলপালিশ করতে ভালোবাসে বা নেলপলিশের উপর অন্যরকম আকর্ষণ রয়েছে তাদের কাছে এর জন্য কোন দিবস প্রয়োজন হয় না। প্রতিদিন নিত্যনতুন রঙে নিজের নখকে রাঙিয়ে তোলায় তাদের কাছে নেইলপলিশ দিবস।