ডিহাইড্রেশন এড়াতে যা করবেন
পরিবেশ পরিবর্তন হচ্ছে। পরিবর্তন হচ্ছে আমাদের আবহাওয়া। সময়ের সাথে সাথে প্রতি বছরই প্রাকৃতিকভাবে নানান ধরনের পরিবর্তন প্রকৃতিতে দেখা দেয় এবং তখনই জীবনযাত্রায় ঘটে নানান ধরনের পরিবর্তন। নানা ধরনের সমস্যা ভুক্তভোগী হতে হয় প্রত্যেকটা মানুষের।
আর এই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় যে সমস্যা শরীর খুব দ্রুত ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। শরীরে দেখা দেয় পানির ঘাটতি। বেড়ে যায় বাড়তি ক্লান্ততা। তাই এই আবহাওয়ার শরীরকে হাইড্রেট রাখতে যা যা করণীয়:
অতিরিক্ত তাপমাত্রা
ঘুমনোর সময় ঘর বেশি গরম থাকলে অনেক সময় ঘুমের মধ্যেই ঘাম হয়। আমাদের দেশে গরমে এই সমস্যা দেখা যায়। এই কারণেও ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
ব্যায়াম
অতিরিক্ত ব্যায়াম করলেও শরীরে জলের অভাব দেখা দিতে পারে। যখন তখন ব্যায়াম করা হয় কিংবা দুপুরের দিকে যদি ব্যায়াম করা হয় সেইসব দিক থেকে শরীর ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে।
লবণ ও কফিজাতীয় খাবার
রাতে ঘুমনোর আগে কফি খাওয়া উচিত নয়। রাত জেগে কাজ বা পড়াশোনা করার সময় অনেকে ঘুম এড়াতে কফি খান। সেটা তখনকার মতো সাহায্য করলেও পরে ঘুম নিয়ে সমস্যায় পরতে হয়। শরীরে পানির অভাবও ঘটায়। ক্যাফাইনের জন্যই এটি হয়ে থাকে। এছাড়াও কাজ, পড়াশোনা বা সিনেমা-সিরিজ দেখার সময় খিদে পেলে নোনতা স্ন্যাক্স খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকের। রাতে লবণের আধিক্য রয়েছে এমন খাবার খেলেও ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
অন্যান্য কারণ
নানা কারণে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যখন দেহে জলের ঘাটতি তৈরি হয়, তখন সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্লোরাইডের মতো ইলেকট্রোলাইটেরও ঘাটতি তৈরি হয়। এই ইলেকট্রোলাইটগুলো দেহে কোষের কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, যখন শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায় এবং ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি তৈরি হয়, তখনই নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
ডিহাইড্রেশন এড়াতে যা যা করবেন
পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ১০ থেকে ১২ গ্লাস প্রতিদিন পানি খেতে হবে এছাড়া পানি খাওয়ার পরিমাণ অনেক সময় নির্ভর করে শরীরের অবস্থা বয়স উচ্চতা ওজন অনুযায়ী।
নিয়মিত গোসল করুন যদি প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন দুইবার গোসল করুন।
অযথা বাহিরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন এছাড়াও বাহিরে গেলে ছাতা সানগ্লাস এইসব ব্যবহার করুন।
গরম মরসুমে শরীরে জলের অভাব পূরণ করে তরমুজ। ৯২ শতাংশ জল হওয়ায় এই ফলটি হাইড্রেটিংয়ের অন্যতম সেরা উপাদান। শুধু এটিই নয়, এটি ফাইবার, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট লাইকোপিনে পূর্ণ, যা ক্যানসার বা স্ট্রোকে খাওয়ার ফলে প্রচুর উপকার পাবেন।
গ্রীষ্মের মরসুমে শশা সেরা ফল হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি এমন একটি ফল, যা ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দূর করে। এটি ভিটামিন – কে, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এবং এতে ৯৫ শতাংশ পানি রয়েছে।
কম মসলার খাবার দিয়ে মেন্যু সেট করুন। স্যুপ, খেজুর, দই, দুধ, কলা, লো ফ্যাট খাবারের সঙ্গে সালাদ, উচ্চমানের পটাশিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার সংযোজন করুন।
এখন গ্রীষ্মকাল। এই সময় শরীরে একটু একটু ডিহাইড্রেশন দেখা দিবে। তবে এ কারণে অস্থির হওয়া দরকার নেই। এই সমস্ত বিষয়ে মেনে চললেই শারীরিকভাবে স্বস্তি পাওয়া যাবে।