খরচ কমান, সঞ্চয়ী হোন
সময়ের সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। সেই অনুযায়ী আমাদের আয় না বাড়লেও খরচ নানাভবে বাড়বে। পাশাপাশি সঞ্চয়ের কথাও ভাবতে হবে যেটা ভবিষ্যতের জন্য জরুরি। এজন্য বছরের শুরুতে পরিকল্পনা করলে অনেক দিক থেকে খরচ কমিয়ে আনাতে পারেন। কিন্তু কিছুক্ষেত্রে যেমন বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ফোন ও ইন্টারনেট বিল, বাজার খরচ ও বিনোদনমূলক ব্যাপারে খরচ হয়েই থাকে। প্রয়োজনীয় খরচের মধ্যে অতিরিক্ত কিছু খরচ হয়ে যায়। ফলে দুঃসময়ে অর্থের প্রয়োজনে টানাপড়েনে পড়ে যেতে হয়। এ জন্য খরচ কমিয়ে আনা জরুরি।
সঞ্চয়ী হওয়া নিজের জন্যই ভালো। এতে যেমন খরচ কম হয়, আবার সঞ্চয়ে থাকা অর্থ পরবর্তীতে প্রয়োজনে কাজে আসে। এ জন্য বছরের শুরু থেকে সঞ্চয়ী হওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন।
আয় বুঝে ভাগ করুন
সংসারকে গতিশীল করতে প্রথমেই আয়-উপার্জনের বিষয়টিকে বুঝে নিন। কার কেমন আয়, কোন খাতে কেমন ব্যয় সেগুলো ভাগ করে ফেলুন। মাসের বেতনের অঙ্ক সেই অনুপাতে ভাগ করুন। চলাফেরা-যাতায়াত, ভ্রমণ, স্বাস্থ্য খাত-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে কেমন খরচ করবেন তা খেয়াল রাখুন। মাসের খরচের বাজেটা করুন এই মাসের ৫ তারিখ থেকে পরবর্তী মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত। এভাবে সময় বাড়িয়ে বাজেট করলে ঝামেলা ও খরচ দুটোই কমতে পারে।
সঞ্চয় করা
প্রতিমাসে কিছু টাকা সঞ্চয়ের জন্য রাখুন। সেভিংস অ্যাকাউন্টে সামান্য হলেও নিয়মিত টাকা রাখতে চেষ্টা করুন। প্রতি মাসের শুরুতেই নির্দিষ্ট অর্থ মিউচুয়াল ফান্ড বা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করুন। ভবিষ্যতে মোটা অঙ্কের অর্থ হবে এবং প্রয়োজনে খরচ করতে পারবেন।
বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে আনা
প্রয়োজনের বাইরে কখনো বৈদ্যুতিক জিনিস চালু রাখা যাবে না। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় লাইট-ফ্যান, এসই ও টেলিভিশনের সুইচ বন্ধ করছেন কি না সেটা খেয়াল করা। বাসায় থাকা অবস্থায় লাইট বন্ধ রেখে জানালা খোলা রাখুন। এতে বাসার ভেতর সূর্যের আলোয় আলোকিত হবে।
অপ্রয়োজনীয় পণ্য নয়
অযথা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবেন না। কেনাকাটা করার সময় প্রয়োজনের কথা ভেবেই কিনুন। যেখানে একটু কমদামে কেনাকাটা করা যাবে সময় নিয়ে সেখান থেকে কেনাকাটা করুন। একই সময়ে যদি কিছু শখের কিছু কেনার থাকে, তাহলে শখের সঙ্গে প্রয়োজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে প্রয়োজনীয় জিনিস অর্জনের পাশাপাশি অর্থ সঞ্চয় হবে। এ জন্য কিছু কেনার আগে একটু ভাবুন, কোনটি আপনার অত্যাবশ্যকীয়।