মানসিক শান্তিকে গুরুত্ব দিক নারী
জীবন চলার পথে নানাবিধ সমস্যা-সংকট দেখা দিতে পারে কিন্তু সেখান থেকে উত্তরণ ঘটানোর চেষ্টা করতে হবে। জীবনের যেকোনো পর্যন্ত সমস্যাকে চিরন্তন ভাবা যাবে না। সময়ের সঙ্গে বুদ্ধি করে সংকট কাটিয়ে ওঠা বুদ্ধিমানের কাজ। এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য এবং মনোবল। যান্ত্রিক যুগে জনজীবনে স্বস্তি নেই। দিন দিন প্রতিটি ক্ষেত্রে নানামুখী সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। পারিবারিক-সাংসারিক টানাপোড়েনও নারী-পুরুষ বিপর্যস্ত। তবে মানসিক শান্তিকে গুরুত্ব দিলে উভয় পক্ষই একসময় স্বস্তিতে থাকতে পারে। যেখানে নারীর মূল্য নেই, সম্মান নেই কোনো মোহেই ডে সম্পর্কে আঁটকে থাকা নারীর শোভা পায় না। মুক্তিই একমাত্র উপায় হতে পারে।
যুগের পরিবর্তনে মানুষের মধ্যে বেড়ে উঠেছে নানামাত্রিক জটিলতা। তবে সবচেয়ে বেশি জটিলতা দেখা দিয়েছে দাম্পত্য সম্পর্কে। আজ-কাল পত্রিকা ঘাটলেই চোখে পড়ে ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা। দাম্পত্য জীবনের টানাপড়েন মানুষকে অনেকটা অস্থিতিশীল করে তোলে। ফলে মানুষ মুক্তি চায়। অনেকেই মুক্তির উপায় না খুঁজে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। তবে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হলে কি নারীকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে? নারী কি নিজের মুক্তির সন্ধান করতে পারে না? তাহলে টক্সিক রিলেশনশিপে বিরাজমান নারীর মুক্তি কোথায়?
পরিবার প্রথার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান দাম্পত্য সম্পর্ক। আর দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি ঘটলেই পরিবার ধস্ত হয়। পরিবার যাদের কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে, সেই নারী-পুরুষের উভয়েরই কাম্য সুখী দাম্পত্যজীবন। কিন্তু যখন দাম্পত্য সম্পর্ককে ঘিরে নানারকম সমস্যার জট পাকায়, তখন দুজনের মধ্যে দেখা দেয় নাভিশ্বাস। মানুষ সর্বদাই শান্তিতে-সুখে বসবাসের স্বপ্ন দেখে এবং সুখে থাকতে চায়। কিন্তু একটা টক্সিক রিলেশনশিপ কি আদৌ সেই মানসিক স্বস্তি দেয়? বরং জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নেয়। এতে এক পর্যায়ে উভয়েই উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করে। তবে দাম্পত্য সম্পর্কের এই জটিলতা-সমস্যার সমাধান কোথায়?
যার নেতিবাচক প্রভাব দাম্পত্য সম্পর্কে বিষের মতো সারা শরীরকে তিলে তিলে গ্রাস করে। এই সম্পর্কের মুক্তির জন্য অনেকেই মৃত্যুমুখী হচ্ছেন, কেউবা আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন, কেউ সামাজিকভাবে মধ্যস্ততায় বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছেন আবার অধিকাংশই মুখ বুজে সয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমান মানুষ প্রচণ্ড পরিমাণে স্বাধীন জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। ফলে একে অন্যকে কতটা ছাড় দিচ্ছে, সেটা যেমন গ্রহণযোগ্য তেমনই মত-পথের মিল-অমিল তো আছেই। যান্ত্রিকতার যুগে মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। ফলে পাশের মানুষটির সঙ্গে ভাব বিনিয়ম করার সময়-সুযোগ বা ইচ্ছে সবটার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আর সম্পর্কগুলোও অনেকটা শীতল হয়ে আসছে কারও কারও জীবনে। আর এই শীতল অনুভূতি একসময় দুজনের মাঝে অনেকটা ফারাক সৃষ্টি করছে।
সমস্যার সৃষ্টি মত-পথের মিল-অমিলই নয় বরং অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার ফলেও এ ধরনের সমস্যা একসময় গুরুতর হয়ে ওঠে। যার ফলস্বরূপ ভাঙছে সংসার। দুজনের মাঝে জন্ম নিচ্ছে খেদ। মান-অভিমান-হতাশা-যন্ত্রণার। যার নেতিবাচক প্রভাব দাম্পত্য সম্পর্কে বিষের মতো সারা শরীরকে তিলে তিলে গ্রাস করে। এই সম্পর্কের মুক্তির জন্য অনেকেই মৃত্যুমুখী হচ্ছেন, কেউবা আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন, কেউ সামাজিকভাবে মধ্যস্ততায় বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছেন আবার অধিকাংশই মুখ বুজে সয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমান মানুষ প্রচণ্ড পরিমাণে স্বাধীন জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। ফলে একে অন্যকে কতটা ছাড় দিচ্ছে, সেটা যেমন গ্রহণযোগ্য তেমনই মত-পথের মিল-অমিল তো আছেই। যান্ত্রিকতার যুগে মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। ফলে পাশের মানুষটির সঙ্গে ভাব বিনিয়ম করার সময়-সুযোগ বা ইচ্ছে সবটার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আর সম্পর্কগুলোও অনেকটা শীতল হয়ে আসছে কারও কারও জীবনে। আর এই শীতল অনুভূতি একসময় দুজনের মাঝে অনেকটা ফারাক সৃষ্টি করছে।
সমস্যার সৃষ্টি মত-পথের মিল-অমিলই নয় বরং অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার ফলেও এ ধরনের সমস্যা একসময় গুরুতর হয়ে ওঠে। যার ফলস্বরূপ ভাঙছে সংসার। দুজনের মাঝে জন্ম নিচ্ছে খেদ। মান-অভিমান-হতাশা-যন্ত্রণার। যার নেতিবাচক প্রভাব দাম্পত্য সম্পর্কে বিষের মতো সারা শরীরকে তিলে তিলে গ্রাস করে।
এই সম্পর্কের মুক্তির জন্য অনেকেই মৃত্যুমুখী হচ্ছেন, কেউবা আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন, কেউ সামাজিকভাবে মধ্যস্ততায় বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছেন আবার অধিকাংশই মুখ বুজে সয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু একটি সুস্থ সম্পর্কই কি গড়ে তোলা উচিত নয়?
টক্সিক রিলেশনশিপে আবদ্ধ থেকে প্রতিনিয়ত ধুঁকে ধুঁকে না মরে পরিবার-সমাজের কথা না ভেবে নিজেকে প্রাধান্য দিতে হবে। নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কারণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানসিকভাবে শান্তি খুব জরুরি।
অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা যেমন আছে, তেমনই রয়েছে একজন অন্যজনকে প্রচণ্ড পরিমাণে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের শিকার করে তোলা, যততত্র অপমান-অপদস্ত করা, নারীর যোগ্যাতার এবং কাজের সঠিক মূল্যায়ন না করা, শ্রদ্ধা না করা, মতের গুরুত্ব না দেওয়া; সবই যেন দাম্পত্য সম্পর্ককে বিষিয়ে তোলার নেপথ্য কারণ। ফলে মানুষের জীবনের এসব জটিলতায় একসময় সম্পর্কে ফাটল ধরিয়ে দিচ্ছে।
প্রথমত এই ধরনের সমস্যায় নারীকেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। কারণ সমস্যা যদি তার নিজের হয়, সেখানে অন্যের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। আরও সহজ করে বলা যায়, ভুক্তভোগীই বুঝবে তার নিজের যন্ত্রণা-কষ্ট কোথায়? তাই অন্যের পরামর্শ, মন্তব্যের জোয়ারে না ভেসে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে নারীকেই। এ ধরনের দুর্গন্ধযুক্ত সম্পর্ক উভয়ের জন্যই মারাত্মক। ফলে নারীকে আগে তার নিজের অবস্থান শক্ত করতে হবে। নিজের যোগ্যতা এবং দক্ষতা অনুযায়ী অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হতে হবে।
মনোবল দৃঢ় করে তারপর অবস্থান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত যেন কোনোভাবেই এবং কখনোই মৃত্যু না হয়। কারণ বর্তমান নারীদের ঘুরে দাঁড়নোর শক্তি আছে। ফলে স্বাবলম্বী হওয়া চায়। টক্সিক রিলেশনশিপে আবদ্ধ থেকে প্রতিনিয়ত ধুঁকে ধুঁকে না মরে পরিবার-সমাজের কথা না ভেবে নিজেকে প্রাধান্য দিতে হবে। নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কারণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানসিকভাবে শান্তি খুব জরুরি। আর একজন মানুষের জীবন তো বটেই। তাই সমস্যার সম্মুখীন হলে সমাধানের চেষ্টা অবশ্যই করতে হবে। ভালো থাকুক নারী। ভালো থাকুক দেশ।
মানসিক শান্তির ওপর আর কোনো কিছুই হতে পারে না। টাকা-পয়সা দিয়ে সুখ কেনা সম্ভব নয়। দিনশেষে একটু টুকরো প্রশান্তিই মানুষের কাম্য। তাই মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে টক্সিক রিলেশন থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। অনেকক্ষেত্রে আমাদের সমাজে নারীরা সন্তান ও পরিবারকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে নিজেকে বিলীন করে দেন যা কখনোই কাম্য নয়। নারী তার আপন অস্তিত্বকে স্বীকার করুক। মানসিক শান্তিকে গুরুত্ব দিক। ভালোর সঙ্গে আপোষ করুক খারাপের থেকে দূরে থাকতে শিখুক- এই হোক জীবনের ব্রত।