Skip to content

২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজয় দিবসে খাবারের পাতে থাকুক দেশীয় খাবার

চলছে বিজয়ের মাস! ডিসেম্বর জুড়ে থাকে উৎসব মুখর পরিবেশ, পাশাপাশি বিজয় দিবস নিয়েও থাকে বাহারি আয়োজন৷ বিজয় দিবসের দিন যেহেতু ছুটি থাকে ও কর্মব্যস্ত দিন থেকে একটু রেহাই পাওয়া যায় তাই এই দিনটা সকলেই বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে আনন্দ করে থাকেন।

আর বাঙালির উৎসব মানে ভুড়িভোজ, উৎসব যেন শুধু অজুহাত কব্জি ডুবিয়ে খাবার খাওয়ার। বিজয় দিনের আয়োজন যদি নিজের ঘরে করে থাকেন তাহলে মেহমানদের আপ্যায়ন করতে পারেন দেশীয় সব খাবার দিয়ে। চাইনিজ, ফাস্টফুড সারা বছর জুড়ে কমবেশি সবারই খাওয়া হয়। কিন্তু বিজয় দিবস উপলক্ষে খাবারের পাতে রাখতে পারেন দেশীয় সব খাবার।

যেহেতু এখন শীতের মৌসুম সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায় বাহারি রকমের দেশীয় সবজি। সবজি দিয়ে করা যেতে পারে নানা রকম আইটেম।বাঙালি খাবারের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাত ভর্তা, খাবারের মেনুতে রাখতে পারেন নানা পদের ভর্তা। টমেটো ভর্তা, বেগুন ভর্তা, আলু ভর্তা এবং দেশীয় সবজি সিম দিয়েও ভর্তা তৈরি করতে পারেন। শীতকালীন সবজি ফুলকপি দিয়ে করতে পারেন ফুলকপির কোরমা। পোলাও কিংবা পরোটার সাথে এটি খেতে বেশ ভালো লাগে৷ বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়ে খিচুড়ির আয়োজন করা যেতে পারে, সাথে পরিবেশন করুন জলপাই কিংবা আমের আচার। সন্ধ্যাকালীন আয়োজনের জন্য রাখতে পারেন আলুর দম ও লুচি,সাথে রাখতে পারেন বুটের ডাল। এছাড়া শাক দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন পাকোড়া। শীতের সন্ধ্যায় মুচমুচে পাকড়া ও গরম চা যেন এক অমৃত স্বাদ। তবে ভুলে যাওয়া যাবে না আমরা মাছে ভাতে বাঙালি, যে কোন আয়োজনে মাছের কথা যেন আমরা ভুলেই যাই সকল মেনুতেই থাকে মাংস।

বিজয়ের উৎসবে খাবারের পাতে মাছ রাখুন। ভর্তার সাথে যোগ করতে পারেন ইলিশ ভাজা কিংবা সরষে ইলিশ। এছাড়া রুই মাছ, চিংড়ি মাছ ইত্যাদি জাতের মাছ বিভিন্ন নতুন নতুন উপায় রান্না করতে পারেন। আপনার মেহমান আপ্যায়নের থিম যদি হয় দেশীয় খাবার তাহলে ডাইনিং টেবিলে বিভিন্ন পদের শাক রাখতে ভুলবেন না। লাল শাক, মুলা শাক, পুই শাক ইত্যাদি সবুজ শাক দিয়ে আপনার ডাইনিং টেবিল মুখরোচক করতে পারেন। এছাড়া মিষ্টি কুমড়ো ফুল দিয়ে তৈরি করতে পারেন পাকোড়া, যা গরম ভাতের সাথে জমে যাবে। এছাড়া লাউ চিংড়ি, কচু ও মিষ্টি কুমড়োর মতো দেশীয় সব সবজি দিয়ে হতে পারেন দারুণ ভুড়িভোজ। খাবারের পর মিষ্টি না থাকলে যেন তৃপ্তি পাওয়া যায় না। মিষ্টি খাবারের মধ্যে রাখতে পারেন খেজুরের গুড় কিংবা সন্দেশ।

আপনার খাবারের টেবিল নান্দনিক করে তুলতে দেশীয় খাবার পরিবেশন করতে পারেন মাটির কিংবা কাঁসার প্লেটে৷ এছাড়া গামছা প্রিন্ট কিংবা রিক্সা প্রিন্টের টেবিল রানার দিয়ে আমার ডাইনিং টেবিলটি সাজিয়ে নিতে পারেন। এই বিজয়ের উৎসবে আপনার খাবারের মেনুর পাশাপাশি টেবিলটিও সেজে উঠবে দেশি ঐতিহ্যে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ