Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মনোরঞ্জনে ভিন্ন স্বাদ আনছে অতিকায় কুকুর

দুই বিশালাকার পুতুল যে মানুষকে কতটা মুগ্ধ করতে পারে, ফ্রান্সের এক গোষ্ঠী তা দেখিয়ে দিচ্ছে৷ অনেক মানুষের পরিশ্রম ও দক্ষতার কল্যাণে ছোটবড় সব বয়সের মানুষ আমোদ পাচ্ছে৷

অ্যান্টওয়ার্প শহরের পুলিশ সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, যে দুটি বিশাল খামখেয়ালি কুকুর একটি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ একটির নাম সোলো, জাতে মেক্সিকান হেয়ারলেস ডগ৷ আজটেক জমানার কুকুর দেবতার কারণে সেটি পরিচিত৷ দ্বিতীয়টির নাম বুল মাশ্যাঁ৷ জাতে ইংলিশ বুলডগ৷ একেবারে চেহারার সঙ্গে মানানসই জোরালো ব্যক্তিত্ব৷ দৈর্ঘ্যে সাড়ে চার মিটার, উচ্চতা প্রায় তিন মিটার, ওজন প্রায় ৯০০ কিলো৷

১৯৭৯ সালে ফ্রান্সে প্রতিষ্ঠিত পথ নাটকের দল ‘রয়াল দ্য লুক্স’ এই দুই চরিত্রের ঠিকানা৷ শিল্পীদের এই দল গোটা বিশ্বে প্রায় দেড় হাজার শো করেছে৷ বিশাল পুতুলগুলি আসলে পিচবোর্ড ও কাঠ দিয়ে তৈরি৷ রয়েল দ্য লুক্সের প্রতিষ্ঠাতা জঁ-লুক কুর্কুল বলেন, ‘‘দেখতে মোটেই সুন্দর নয়৷ চেহারা মোটা, মুখ থেকে লালা বের হচ্ছে৷ সিগার খায়৷ অনেক বেমানান কাজ করে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সে একেবারে ডার্লিং৷”

অতিকায় পুতুল কুকুরে মুগ্ধ বেলজিয়াম
সেই কুকুর চালাতে ২৯ জন করে লোক লাগে৷ গালিভার ট্রাভেলস গল্পের ক্ষুদ্র লিলিপুটদের অবলম্বনে সেই পেশার নাম রাখা হয়েছে৷ কুর্কুল বলেন, ‘‘এটা অনেকটা নৌকার মতো৷ কেউ দড়ি টানে, কেউ মাস্তুল সামলায়, বিভিন্ন অংশ চালনা করে৷ সবকিছুর মধ্যে নিখুঁত সমন্বয়ের প্রয়োজন৷”

লিলিপুট কর্মীরা যাতে পুরোপুরি নিজেদের কাজের প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে শোয়ের সময়ে তাদের বিরক্ত করা বা তাদের সঙ্গে কথা বলা নিষেধ৷ জঁ-লুক কুর্কুল মনে করিয়ে দেন, ‘‘টিম তাদের চরিত্রের সঙ্গে এত নিবিড়ভাবে কাজ করে. যে সদস্যরা সেই কুকুরকে মানুষের মতোই ভালোবাসেন৷ কিছুদিন পর মুগ্ধতা বিশুদ্ধ ভালোবাসায় পরিণত হয়৷”

সেই মুগ্ধতা দর্শকদের উপরও ছেয়ে যায়৷ বেলজিয়ামের বন্দর শহরের পথে বিশালাকার কুকুরগুলিকে দেখতে প্রায় সাত লাখ ষাট হাজার মানুষ এসেছেন৷

রয়াল দ্য লুক্সের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জঁ-লুক কুর্কুল তাঁর দৈত্যাকার কুকুরগুলি অ্যান্টওয়ার্প শহরে নিয়ে এসেছেন৷ তিন দিন ধরে শহরটিকে দৈত্যাকার চরিত্রগুলির জন্য প্রস্তুত করতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে৷ জানুয়ারি মাসেই পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল৷

সোলো ও বুল মাশ্যাঁ-র স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এমনকি কয়েকটি বাস স্টপও স্থানান্তরিত করতে হয়েছিল৷ অ্যান্টওয়ার্পের ডেপুটি মেয়র নাবিলা আইৎ দাউদের মতে, সেই উদ্যোগ সার্থক হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘দৈত্যাকার কুকুরদুটিকে অ্যান্টওয়ার্পে আনতে আমাদের বাজেট ছিল প্রায় দশ লাখ ইউরো৷ তবে সেই অভিজ্ঞতার মূল্য অনেক বেশি৷ বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকালে সেই প্রভাব বোঝা যায়৷ বড়রাও মুগ্ধ৷ ফলে আমরা সত্যি খুশি৷”

একটি বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ অ্যান্টওয়ার্প শহর রয়াল দ্য লুক্সের পরবর্তী সফরের জন্য অপেক্ষা করে থাকবে৷

অনন্যা/এআই

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ