Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেয়ালের শত সাজসজ্জা

গৃহের দেয়ালের সজ্জা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যে গৃহে আমরা থাকি,  সেই গৃহ শুধু কেবলই বাসস্থানের জায়গা নয়। এই গৃহ সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধের এক জায়গায়। প্রতিটি গৃহে রয়েছে ছোট ছোট গল্প,  রয়েছে ভালোবাসা ও শান্তি। তাই গৃহ শয্যায় দেয়ালকে  সুসজ্জিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ।

গৃহের দেয়ালগুলো যদি জীবন্ত রাখা যায় তাহলে গৃহ যেমন সুন্দর লাগে, তেমনি মনও বেশ প্রাণবন্ত লাগে। কারণ পরিবেশের সাথে মনের একটি সংযোগ স্থান রয়েছে। তাই গৃহের দেয়ালগুলোকে প্রাণবন্ত এবং জীবন্ত করতে দেয়ালের সাজসজ্জা একটি প্রয়োজনীয় অংশ। তাই খুব সহজ উপায়ে দেয়ালকে কিভাবে সাজিয়ে এবং রাঙিয়ে তোলা যায় তাই বলা যাক-

 * রং তুলি দিয়ে দেয়ালকে খুব সহজে রাঙিয়ে তোলা যায়। তবে এর মানে এই না যে রং তুলি দিয়ে যা খুশি তাই কিছু একটা এঁকে রাখবো। অবশ্যই ঘরের সাথে মানাতে হবে এবং ঘরটি কার সেই বিষয়টি মাথায় রেখে দেয়ালে পেন্সিলের সাহায্যে নকশা আগে এঁকে নিতে হবে। তারপর দেয়ালের রং এর সাথে মিল রেখে নকশাটি রং করতে হবে। সামঞ্জস্য থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।  ঘরটি আসলে বয়স্ক মানুষের নাকি বাচ্চাদের নাকি প্রাপ্তবয়স্কদের সেই বিষয়টি মাথায় রেখে দেয়ালের নকশা পরিকল্পনা করতে হবে। এছাড়াও খরচ কমানোর জন্য এ ধরনের কাজগুলো নিজেরাই ঘরে বসে করা যায়। যেমন – দেয়ালে ছোট ছোট কিছু গাছ আঁকা কিংবা পাখি অথবা ফুল, তাঁরা নানা নকশা দিয়ে দেয়ালকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা যায়। একবার কল্পনা করে দেখুন তো ঘরের একটি দেয়াল যদি এত সুন্দর করে সাজানো থাকে তাহলে বাইরে থেকে এসে যখন সে দেয়ালটির দিকে তাকানো হবে মন তো এমনি শান্তিতে ভরে যাবে। 

*  দেয়ালে স্মৃতির গল্প। দেয়াল হচ্ছে নানা গল্পের নানা সময়ে স্মৃতিকে বহন করে। এই যেমন ছোটবেলার স্মৃতি কিংবা কারো বিয়ের অথবা কোন সুন্দর দিনের। দেয়াল প্রতিটা মানুষের জীবনের নানা সময়ের স্বাক্ষী হিসেবে রয়ে যায়। কারণ দেয়ালে থাকা ছবিগুলো স্মৃতির কথা বলে। পুরনো দিনের কথা বলে। দেয়ালে চাইলেই জন্ম থেকে শুরু করে বৃদ্ধ হওয়া পর্যন্ত সকল স্মৃতিকে একত্রে বাঁধাই করে রাখা যায়। কখনো বা সাদাকালো কখনো বা রঙিন ফ্রেমে বন্দী করে রাখা যায়। 

* দেয়াল শয্যায় আরো অনেক ধরনের নতুন নতুন সংযোজন রয়েছে। যেমন দড়ি দিয়ে তৈরি নানান ধরনের ঝালর কিংবা দড়ি দিয়ে তৈরি আয়না, রয়েছে ক্যানভাস। মাটির তৈরি নানা ধরনের নকশা করা শোপিস। এছাড়াও ক্রাফটিং এর সাহায্যে নানা ধরনের জিনিস তৈরি করে দেয়ালে ঝুলিয়ে দেওয়া যায় এছাড়াও দেয়ালে চাইলে বিভিন্ন ধরনের বোর্ডের পোস্টার লাগানো যায় যা আসলে আঠার সাহায্যে লাগানো হয়।  এছাড়াও দেয়ালের কোন একটি পার্টকে চাইলে কোন একটা সময়ে জনপ্রিয় কোন বিষয় দিয়ে দেয়ালটি সাজানো যায়। যেমন- ১৯৯০ সালের হিন্দি বা বাংলা সিনেমা নানা ধরনের পোস্টার কিংবা প্রিয় লেখকের নানা ধরনের বইয়ের পোস্টার কিংবা কিছু পজিটিভ কোটেশন দিয়ে সাজিয়ে তোলা যায়। 


গৃহ শয্যায় দেয়ালকে রূপ দেওয়ার মাধ্যমে গৃহকে নান্দনিক করে তোলা যায়। দেয়ালকে এমন ভাবে সাজিয়ে তুলতে হবে যাতে করে ঘরের পরিবেশটা বেশ মনোরম, উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত লাগে। যাতে করে কেউ বাহিরে থেকে এসে আপনার সুন্দর রুচি সম্পর্কে তার একটি উজ্জ্বল সুন্দর ধারণা হয়। এছাড়াও সুন্দর দেয়ালের পাশে একটি চেয়ার রেখে এক কাপ চা হাতে নিয়ে বই পড়তে বেশ ভালো লাগবে।  তাই গৃহ শয্যায় দেয়ালকে সাজিয়ে তোলা একটি সুন্দর ও সহজ আইডিয়া হতেই পারে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ