Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌন্দর্যের সাম্রাজ্য শ্রীমঙ্গল

শ্রীমঙ্গল একটি পাহাড়ি এলাকা। অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গল শ্রীমঙ্গল নামটা শুনলেই চোখে একটা সবুজ চা বাগানের দৃশ্য ভেসে আসে। সবুজ যেন পুরো প্রকৃতিকে ঘিরে রেখেছে। চা বাগানের জন্য বিখ্যাত এক জায়গা শ্রীমঙ্গল। সবুজের নিসর্গে ভরা ৩৯টি চা বাগান রয়েছে। তবে শ্রীমঙ্গল যে শুধু চা বাগানে সীমাবদ্ধ রয়েছে তা নয়। বধ্যভূমি, চা বাগান, হাওর, চিড়িয়াখনা, সাত রংয়ের চা  ও নানা রকমের বাগান। 

চা বাগান বাদেও সেখানে নানা রকমের বাগান রয়েছে।  যেমন লেবু বাগান, আনারস বাগান।  লেবুর জন্য এক বিখ্যাত জায়গা শ্রীমঙ্গল। বাংলাদেশের প্রায় ৭০ ভাগ লেবুই শ্রীমঙ্গল থেকে আসে। 

শ্রীমঙ্গলের বিখ্যাত সাত রঙের চা। যারা ঘুরতে গিয়েছে তারা অবশ্যই এটা পান করেছে। যারা পান করেনি তারা বিখ্যাত চায়ের ছবি অবশ্যই দেখেছে। এর নাম সপ্তম আশ্চর্য পান।  এর কারণ এটি এক সপ্তম আশ্চর্য যার সাত রঙের অনবদ্য সাতটি স্তর ৭রকমের  আমেজের মাত্রা দিবে। এক গ্লাস  সাত রঙের চায়ে দাম  ৭০-৮০ টাকা। নীল কণ্ঠ চা কেবিন সাত রঙের চায়ের হাতেখড়ি।

সিলেটের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নাম শ্রীমঙ্গল। চা বাগান লেবু বাগান ছাড়াও রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্যের হাকালুকি হাওর। শ্রাবণের ঝরে পড়া বৃষ্টিতে হাওরের বিলের সৌন্দর্য হয়ে উঠে দ্বিগুণ। বৃষ্টির দিনে হাওড়ের পার ডুবে গিয়ে তৈরি হয় মাছের আবাস্থল হিসেবে। ইঞ্জিন চালিত, হস্ত চালিত দেশীয় নৌকায় ঘুরে দেখা যায় হাওরের নৈসর্গিক রূপ। 

চিড়িয়াখানা নিজ উদ্যোগে গড়ে উঠা শ্রীমঙ্গলের একমাত্র চিড়িয়াখানা সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা নামে পরিচিত। স্থানীয় ব্যক্তি বাবু সীতেশের নামানুসারেই এই চিড়িয়াখানাটির নামকরণ করা হয়। সজারু, হরিণ, উল্লুক, ধনেশ পাখি, একাধিক প্রজাতির কাঠাবিড়ালি নিয়েই গড়ে উঠে অপরূপ এই চিড়িয়াখানা। প্রবেশ করতে লাগবে ১০ টাকার একটি নোট।

শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের একটি জনপ্রিয় জায়গা ঠিকই। তবে শ্রীমঙ্গলের এই সৌন্দর্যের কথা ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশের নানা জায়গায়। অনেক বিদেশি পর্যটকই এখানে ঘুরতে আসে।  সদ্য বিবাহিতদের জন্য ভ্রমণের একটি উপযুক্ত জায়গা শ্রীমঙ্গল। এছাড়াও বন্ধুবান্ধব নিয়ে একদিনের ট্যুর হিসেবে শ্রীমঙ্গল জায়গাটি একদম উপযুক্ত।

শ্রীমঙ্গলের আশেপাশে ঘোরার জন্য আরও অনেক জায়গা রয়েছে। সেই ভ্রমণটি হবে বেশ সময় সাপেক্ষ। তবে পূর্ব পরিকল্পনা করে একটার পর একটা ঘোরা যায় একবারে না হলে বেশ কয়েকবারে সে জায়গাগুলো ঘুরে দেখাও সম্ভব।

যেভাবে শ্রীমঙ্গল যাবেন

ঢাকা থেকে ট্রেনে করে শ্রীমঙ্গল যেতে কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশন হতে উপবন, জয়ন্তিকা, পারাবত অথবা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনকে বেছে নিতে পারেন আপনার ভ্রমণ সঙ্গী হিসাবে। শ্রেণী ভেদে জনপ্রতি ট্রেনে যেতে ভাড়া ২৪০ টাকা থেকে ৫৫২ টাকা। ট্রেনে যেতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা।বাসে করে ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যেতে ফকিরাপুল অথবা সায়দাবাদ থেকে ৪৭০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা ভাড়ায় হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সিলেট এক্সপ্রেস, এনা ইত্যাদি নন এসি বাস পাওয়া যায়। বাসে যেতে সময় লাগে ৪ ঘন্টার মত।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ