Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারী কেন আটকাবে!

আলোচনার বিষয় ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাস। স্ট্যাটাসটির রচয়িতার নাম উদ্ধার করা যায়নি। তবে স্ট্যাটাসটা ঠিকই নিউজফিডে বারবার অনেকের প্রোফাইলে ভেসে আসছে। ‘নারী আসলে কিসে আটকায়? জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতায়, বিল গেটসের টাকায়, হুমায়ূন ফরিদীর ভালোবাসায়, তাহসানের কণ্ঠে কিংবা হৃত্বিক রোশানের স্মার্টনেসে! এসবের কোনোকিছুই নারীকে আটকাতে পারে নাই। তবে।’ আলোচনার প্রসঙ্গ শুরু হয় যখন দীর্ঘ ১৮ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফি গ্রেগরি ট্রুডো। তাদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে তা বিদ্যমান বাস্তবতায় একটু অস্বাভাবিকই বটে। তবে নারীকে কেউ আটকাতে পারেনি বা ‘নারী কিসে আটকায়?’ এমন প্রশ্নের মধ্যে গা ভাসানো অনেকেই সংকীর্ণ ও আবেগিয় ভঙ্গিতে বিষয়টিকে বিচার করছেন। বিষয়টি এখন কিছুটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে আছে বলে মনে করছেন সুশীলরা। নারীকে ছোট বা হেয় করতে এমন প্রসঙ্গ আনা অবান্তর। কোনো মানুষই কোনো কিছুতে আটকে থাকে না। আবার কোনো কিছুকে ছেড়েও যেতে পারে না। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। সে হোক নারী কিংবা পুরুষ। এই আটকে থাকাটা মূলত সম্পর্ক, মায়া, ভালোবাসা, দায়িত্ব এবং দায়বোধ থেকে তৈরি হয়। অনেকাংশে ব্যক্তির সম্মান-মর্যাদার সঙ্গেও যুক্ত।

নারীর প্রতি চরম বিদ্বেষের অনেক বহিঃপ্রকাশ রয়েছে। নারী নির্যাতন তো রয়েছেই একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীকে হেনস্তা করার নানা অপপ্রক্রিয়া রয়েছে। বাস্তব সামাজিক ভাবনার প্রতিফলন হিসেবেই নারীকে নানাভাবে গন্ডিবদ্ধ ও কোনঠাসা করার চেষ্টা করা হয়। নিয়ন্ত্রণের এই প্রচেষ্টা থেকেই নারী যখন স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেয় তখন পুরুষতান্ত্রিক ভাবনার মানুষরা মর্মাহত হয়। তাদের মনে হয় নারীকে আটকানো যায়নি। তারা সবসময়ই নিজ স্বার্থের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে এবং স্বার্থ আদায়ের পর পালিয়েছে। এটি সংকীর্ণ দৃষ্টিতে দেখা তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে জাস্টিন ট্রুডোর সংসার ভাঙনের বিষয়টিকে সবাই দায়বদ্ধ করছেন ট্রুডোর স্ত্রীকে। বাস্তবতা কি পশ্চিমা বিশ্বে এমন? পশ্চিমা বিশ্বে সংসার গঠনের ক্ষেত্রে যে নৈতিকতা, আদর্শ এবং দায়িত্ববোধের পরিচয় দেয়া হয় তা আমাদের অঞ্চল থেকে ভিন্ন। ভারতীয় উপমহাদেশে নারীর আর্থ-সামাজিক ও আর্থ-রাজনৈতিক অবস্থান গঠনের ক্ষেত্রে জীবনের পরিচয় ও অবলম্বন বিয়ে। ঢাকাই সিনেমার দিকে একবার তাকিয়ে দেখুন। ভারতীয় সিরিয়ালে বা অনেক চলচ্চিত্রে সিঁদুরের গুরুত্বের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবুন। এগুলো তো চিত্রায়ন। অভিনয় হলেও বাস্তবে তো সমাজের বিরাট একটি অংশে নারীর আচার-আচরণের প্রতি এমন প্রত্যাশাই রয়েছে।

নারীকে কে আটকাবে প্রশ্নটি ভুল। নারী কিসে আটকায়? নারী আটকায় সমাজের কাঠামোতে। সমাজ ভাষা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারীকে হেয় করার চেষ্টা করেছে। সম্প্রতি বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইড ঢাকায় ‘শব্দে জব্দ নারী’ নামে একটি আয়োজন করে। তারা যে আয়োজনটি করেছেন তা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। তবে তাদের গবেষণাটির তাৎপর্য রয়েছে। সংস্থার কর্মকর্তা কাশফিয়া ফিরোজ জানান, ‘শহরাঞ্চলে ৮৮ শতাংশ নারী পথচারী কর্তৃক আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হন।’ গবেষণার পরিসর শহরাঞ্চলকে ঘিরেই। দুই হাজার আটশো কেসের ওপর নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গবেষণাটি করা হয়। আমাদের সমাজে নারীকে আটকানোর ক্ষেত্রে মৌখিক নির্যাতন কতটা ভয়াবহ তা ফেসবুকের ঐ স্ট্যাটাসই কি প্রমাণ করে না? যখন কারো ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়, তখন তাকে মৌখিকভাবেও নির্যাতন মানে গালিগালাজও করা হয়। আর মানসিক নির্যাতন তো আছেই, যেমন তুমি এটা পারবে না, ওটা করবে না।

ফেসবুকে নারীকে মৌখিক নির্যাতনের অনেক পন্থা রয়েছে। বিভিন্ন সময় ইনবক্সে তাদের বিরক্ত করা, আচমকা সেক্সচ্যাটের আহ্বান জানানো, প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে জোর করা, এমনকি নারীর পেছনে স্টকারের মতো ঘোরা আবার অনেক সময় পরিবার পর্যন্ত ঠেলে নেয়ার ফলে নারীর ওপর মানসিক নির্যাতন থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারীকেই দোষী করা হয়। বিষয়টি মনস্তাত্বিক তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ যারাই এই অভিযোগের তীর ছুড়ে দিয়েছেন তারা তাদের প্রেয়সীদের নিজের জীবনের সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে পারেন নি। প্রেয়সীর প্রতি তাদের অভিমানের বদলে জিঘাংসাই বেশি কাজ করে। মনস্তাত্বিক অবস্থায় পুরুষের মনে হয় সে বড্ড অসহায়। তার জীবনের গতিবিধি শ্লথ এমনকি অনেকসময় পুরোপুরি থেমেও গেছে। মনস্তাত্বিক অবস্থান থেকেই নারীকে দোষারোপ করার এই প্রবণতা পশ্চিমা দেশে তুলনামূলক কম।

ট্রুডো তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে আলোচনা করেছেন অবশ্যই। দুজনই দুজনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে এসেছেন এবং একে অপরের জীবনের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন। তাদের জীবন থমকে যায়নি। এমনকি তাদের যোগাযোগ বা মুখ দেখাদেখিও বন্ধ হয়ে যাবে এমন নয়। পশ্চিমা বিশ্বে সেপারেশন স্বাভাবিক বিষয়। সেপারেশনের পর যদি সাবেক দম্পতির সন্তান থাকে তাহলে সন্তানের কাস্টডি বাবা কিংবা মাকে দেয়া হয়। আর সেপারেশনের পর বাবা কিংবা মা সন্তানের সঙ্গে যেকোনো সময় দেখা করতে পারে। দম্পতি না হলেও তারা নিজেদের মতো সময় কাটায়। শুধু এক ছাদের নিচে নিয়মিত থাকা হয় না। একে অপরের প্রতি এই শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থার বিষয়টি সুনির্দিষ্ঠ কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগত সুবিধার কারণে সম্ভব হয়েছে।

অন্যদিকে আমাদের সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ নারীর জন্য অভিশাপ। একজন বিচ্ছেদ হওয়া নারী পরবর্তীতে বিবাহিত জীবনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন। কেউ যদি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েও ফেলেন তাহলে তাকে স্বামী ও তার পরিবার অনেক দোষারোপ করেন। আর সেখান থেকেই সবাই মনে করে নারী স্বেচ্ছাচারি প্রকৃতিগতভাবে। অথচ বৃহৎ পরিসরে চিন্তা করে দেখলে দেখা যায় সমাজ এই সিদ্ধান্তের জন্য তাকে হেয় করতে থাকে। আমাদের সমাজে নারীর অবস্থান ও অবলম্বন বিয়ে। কেউ শিক্ষিত বা সাবলম্বী হলেও তাকে বিয়ে করতেই হয়। নিজের নিরাপত্তা ও সংসার নারীর সহজাত দায়িত্ব যেন। তাহলে নারী কিভাবে স্বেচ্ছাচারি হয়? সমাজ ও ব্যক্তির আলাদা প্রেক্ষাপট আমরা বিচার করি না। ক্ষুদ্র গন্ডিতে ব্যক্তির আবেগকেই বিচার করা হয়। জাস্টিন ট্রুডোর মত সিদ্ধান্ত কেউ আমাদের দেশে নিতে গেলে লজ্জাকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এজন্যই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে দেখা যায় স্বামী তার প্রেমিকাকে নিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করছে। উলটো ঘটনাও কম ঘটে না। আবার সম্প্রতি প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর আগে সন্তানকে হত্যা করার ঘটনাও কম ঘটেনি। অথচ প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতিবদ্ধভাবে এই বিষয়টির মিমাংসা করা যেত। আমরা এই নৈতিকতার চর্চা এখনও শুরু করিনি। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীকে মৌখিক নির্যাতন বা ভাষায় জব্দ করার প্রক্রিয়াটিকে বৈধতা দিতে শুরু করেছি। কোনো নারীকে ভয়াবহ গালাগাল করলে পাশ থেকে অনেকে মন্তব্য ছুড়ে দেন, ‘ঠিক কাজ করছো।’ এগুলো মনস্তাত্বিক প্রবণতা তো বটেই।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্লেখিত স্ট্যাটাসটি আমাদের দেশের জনপ্রিয় কিছু বিবাহবিচ্ছেদের কথা উল্লেখ করেছে। নারী কিসে আটকায়? প্রশ্নটিই জঘন্য আসলে। বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা কিংবা আন্তঃসম্পর্ক কি রয়েছে? রয়েছে তো বটেই। হুমায়ুন ফরিদীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর সুবর্ণা মোস্তফা বদরুল আনাম সৌদকে বিয়ে করেন। তখন তাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। হুমায়ুন ফরিদীকে প্রতিষ্ঠা করা হয় একনিষ্ঠ স্বামী ও প্রেমিক হিসেবে। কিন্তু হুমায়ূন ফরিদী কেন বিবাহবন্ধনের ছিন্নতাকে বাজে হিসেবে ভেবেছেন? কারণ তার ইচ্ছে ছিল সুবর্ণা মোস্তফা তারসঙ্গে সবসময় থাকবে। এমন প্রত্যাশা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বিরল নয়। তাই হুমায়ুন ফরিদী বীরের পুষ্পমাল্য পড়ে আমাদের কাছে বিবেচিত আর সুবর্ণ মোস্তফা স্বার্থপর। তারপর হৃত্বিক রোশন ও সুজান খানের বিচ্ছেদের ঘটনাতেও হৃত্বিক সমবেদনা আদায় করেছে। তাহসান-মিথিলার ঘটনাও ভেবে দেখা যাক। মিথিলা যদি সত্যিই স্বাধীন বা তাকে আটকানো না যায় তাহলে ফেসবুকে তাকে এত নোংরা ভাষায় আখ্যায়িত করার কারণ কি? হেন নেই এমন বাজে পেশা, অবস্থান, চরিত্রের সঙ্গে মিথিলাকে তুলনা করা হয়েছে। এমনকি মিথিলার প্রাতিষ্ঠানিক অর্জনকেও তাহসানের দান বলে অনেকে উল্লেখ করেছেন। অথচ মিথিলা নিজে গবেষণা করে পিএইচডি অর্জন করেছেন এবং ভারতনাট্যমে তিনি দক্ষ নৃত্যশিল্পী। পাশাপাশি অভিনয় ও গায়িকা হিসেবেও তিনি সুনাম কুড়িয়েছিলেন। অথচ একটি ঘটনায় মিথিলাকে নোংরাভাবে উপস্থাপনের এই প্রক্রিয়া তার ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করেছে তো বটেই। কারণ তিনি যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন সেখানেও তাকে এই বিষয়গুলোর প্রসঙ্গের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে বাস্তবতা থেকে তো তিনি বিচ্ছিন্ন নন। লজ্জাবোধ থেকে মানসিক পীড়া তাদের ভোগায়। 
নারী কিসে আটকায়? এর উত্তরটিও বৈচিত্র্যময়। নারী অর্থে আটকায় না আবার বিসিএস ক্যাডারের প্রতি তাদের আকর্ষণ। এখানে নারী ধরা। তাও স্বেচ্ছাচারি সিদ্ধান্তে। এই আলোচনাগুলো কন্ট্রাডিক্টরি। নারীকে নির্যাতন, হেয় ও গালিগালাজের বিষয়টি বিস্তৃত। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নারীর শ্রমকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। শিক্ষিত নারী শহরাঞ্চলে কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতাও তারজন্য অভিশাপ। বেশি শিক্ষিত হলেও সমাজের অনেকে তাকে রসিকতা করে ‘মেমসাহেব’ বলেন। নারীকে লজ্জার অনুভূতি এবং মানসিকভাবে আত্নবিশ্বাসহীন দেখাই সমাজের প্রত্যাশা। নারী থাকবে পুরুষের নিয়ন্ত্রণে। নিয়ন্ত্রণের এই মানসিক দৈন্য দূর না হলে আমাদের সমাজে এমন সাইবার বুলিং টিকে থাকবে। অবশ্য আমাদের সমাজে আধুনিকতার আকর্ষনীয় দিকগুলোই নেয়া হয়েছে। অথচ সনাতনী ভাবনাও সহাবস্থান করছে। দ্বান্দিকভাবে এটি সাংঘর্ষিক তো বটেই। আপনার জীবনে ভুল করে কোন নারী তাহলে অনেকে মনে করেন এবার তার ঘরদুয়ার সামলানোর কেউ আছে। অগোছালো জীবন গোছানোর দায় কেউ নিবে। স্ত্রীর জন্মদিন মনে রাখবেন না, তার মন খারাপের দিনে স্বার্থপরের মতো বন্ধুদের সঙ্গে সময়ে-অসময়ে আড্ডা দিতে চলে যাওয়া, সংসারের সব দায় তার ওপর চাপিয়ে দেবেন, তার সাথে থেকেও আপনার মন পড়ে থাকবে অন্য নারীর দিকে, তার সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়াও বিরল হয়য়। সবকিছুতে অতিষ্ঠ হয়ে সে নারী চলে যেতে চাইলে অনেকে বলবেন, ‘আটকাতে’ পারলাম না। ব্যাপারটা অনেকটা পরীক্ষায় ফেল তো করবই বলে পড়াশোনা না করে খালি খাতা জমা দিয়ে এই টিচার সবাইকে ফেল করিয়ে দেয় বলার মতো। এমন মন্তব্য সাংঘর্ষিক তো বটেই। অথচ আমাদের সমাজে তরুণ প্রজন্ম শেখার বিষয়ে আগ্রহী নয়। তাই কোনো বিষয় না অনুভূতি ও সামাজিক দায়িত্বের বিষয়ে তাদের স্বচ্ছ ধারণা। এজন্যই ট্রেন্ডের স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়া সহজ হয়ে যায়। অথচ এগুলোর মাধ্যমে অনেকে নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন। নারীকে হেয় করার মাধ্যমে অনেক গ্রুপ বা পেজ মনেটাইজেশন থেকে আয় করে নিতে পারে। নারীকে এখানে অন্যভাবে পণ্য করে ফেলা হয়। তাহলে নারী কিসে আটকাবে? এই প্রশ্ন কতটা অবান্তর তা বোঝা কঠিন কিছু নয়। 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ