চালতার যত গুণ
চালতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ, ভিটামিন, বিটা ক্যারোটিন এবং সামান্য পরিমাণ আমিষ ও শর্করা। তাই চালতা মানবদেহে যেমন রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে, তেমনি পুষ্টি পূরণেও রাখে বিশেষ ভূমিকা। শুধু খাদ্য হিসেবে নয়, রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও রয়েছে চালতার ব্যবহার।
চালতার পুষ্টিগুণ হলো, যেমন-
১. চালতার পাতাস্থ তেল ত্বকের সংকোচনে ও এর আঠা ত্বকের ক্ষতজনিত যন্ত্রণা প্রশমিত করতে ব্যবহৃত হয়।
২. চালতাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’।
৩.এটি অন্ত্রের সংক্রমণ, অর্শরোগ এবং ডায়রিয়া নিরাময়ে সাহায্য করে।
৪.চালতা যেকোনো ধরনের বদহজমজনিত সমস্যার জন্য ভালো ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৫.চালতা গর্ভপাত পরবর্তী সমস্যাগুলো প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৬.এমনকি এটি জরায়ু ও স্তনের ক্যান্সার পর্যন্ত প্রতিরোধ করে।
৭.পুরুষের অকাল বীর্যস্খলন, দুর্বলতা ও শুক্রাণুর স্বল্পতা নিরাময়ে চালতা উপকারী ভূমিকা রাখে।
৮.চালতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় স্কার্ভি ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে।
৯.রক্ত পরিশোধন ও ডিটক্সিফিকেশনে চালতা সহায়তা করে।
১০.চালতার পাতা ঠান্ডা ও কাশির জন্য উপকারী।
১১.চালতা গাছের কষ বা আঠায় ডায়াবেটিস রোগ নিরাময়ের উপাদান রয়েছে।
১২.প্রতি ১০০ গ্রাম চালতায় ১৪০ কিলোক্যালরি শক্তি আছে, যা কিনা শক্তিবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
১৩.চালতায় উপস্থিত আয়রন রক্তের লোহিতকণিকার কার্যক্রমে সহায়তা করে। রক্তের সংবহন ঠিক রাখে। চালতার বিভিন্ন উপাদান হার্টের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
১৪.পাকস্থলিতে যাদের আলসার আছে, তাদের জন্য উপযুক্ত ওষুধ চালতা।
১৫.কাঁচা চালতার পানিতে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় নিয়মিত লাগালে চুল পড়া কমে যায়।
১৬.কাঁচা চালতার রসের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে সপ্তাহে দুবার চুলের গোড়ায় লাগালে খুশকি দূর হয়ে যাবে।
১৮.চালতার রসের সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করলে মরাকোষ পরিষ্কারের পাশাপাশি ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও কোমল।