পিঠে ব্যথার কারণ ও করণীয়
নানা কারণে পিঠে ব্যথা হতে পারে। কিছু বিষয়ে সাবধান থাকলে ব্যথার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে আসি, পিঠে ব্যথার কারণ আর এর প্রতিকার।
দীর্ঘ সময় কুঁজো হয়ে বসা
চেয়ারের উপর বাঁকা হয়ে বসার অভ্যাস প্রায় সবার। কিন্তু এভাবে বাঁকা হয়ে বসলে বুকের মাংসপেশিতে চাপ পড়ে। কাঁধ সামনের দিকে ঝুঁকে যায়। শক্তির অপচয় হয়। ফলে পিঠ ও ঘাড়ে ব্যথা হয়। এছাড়া পা ছড়িয়ে বসলে পিঠ সঠিক অবস্থানে থাকে না। তাই, ৯০ ডিগ্রি কোণ করে ও চেয়ারের চাকার কাছাকাছি বসার চেষ্টা করুন। তাহলে আর পিঠে ব্যথা হবে না।
টানা কাজ করা
অনেকেই একটানা অনেকক্ষন কাজ করেন। কিন্তু এতে হিতে বিপরীতই হয়। কাজের ফাঁকে বিরতি নেওয়ার অভ্যাস না করলে পিঠে ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে ১৩৫ ডিগ্রি কোণে বসে কাজ করলে মেরুদন্ডের মধ্যবর্তী জায়গা কম সংকুচিত হবে। তাছাড়া ৩০ মিনিট পরপর কিছুক্ষণের জন্য উঠে দাঁড়ালে বা হাঁটাহাঁটি করলে উপকার পাওয়া যাবে। পাশাপাশি চেয়ার মেরুদন্ডের বাঁকা স্থানের ভার ঠিকভাবে নিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। বসার সময় মাথা সোজা আর মেরুদন্ড চেয়ারের সঙ্গে লেগে থাকতে হবে।
মানসিক চাপ
দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র মানসিক যন্ত্রনাও পিঠ ব্যথার অন্যতম কারণ। মানসিক চাপে ভুগলে পেশি, ঘাড় ও পিঠে চাপ পড়ে। তাই প্রতিদিন শান্ত বা চাপমুক্ত থাকার অভ্যাস করতে হবে। গবেষণায় জানা যায়, ব্যথা কমাতে গান বেশ কাজ করে। সংগীত হরমোনের চাপ ও পেশির উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে।
খাদ্যাভ্যাস
যেসব খাবার হৃদযন্ত্র ভালো রাখে এবং শরীরের ওজন ও রক্তে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে, সেসব খাবার পিঠের জন্যও উপকারী। গবেষকরা জানান, যাদের পিঠ ব্যথা করে তাদের বেশিরভাগেরই ধমনি ও মেরুদন্ড ক্ষতিগ্রস্ত। তবে, স্বাভাবিক রক্ত চলাচল মেরুদন্ডে পুষ্টি জুগিয়ে ময়লা পরিষ্কারে সাহায্য করে। এমনটা না হলে পিঠে প্রদাহ হতে পারে, যা স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে ব্যথার সংকেত পাঠাবে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সয়া, বাদাম, শাকসবজি, বিভিন্ন প্রোটিনজাতীয় খাদ্য যেমন- মুরগি, মাছ, চর্বি ছাড়া মাংস এবং ফল খেতে হবে।