Skip to content

২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারী-পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী সমান অর্থ: সাম্যের পথে একধাপ

নারী-পুরুষের সমাতা বিধানের কথা বলা হলেও আমাদের দেশে এমনকি বহির্বিশ্বের অনেক দেশে বেশ কিছু পেশা আছে যেগুলোতে নারীরা পুরুষের থেকে কম অর্থ পান। শুধু নারী হওয়ার কারণে এসব জায়গায় নারীর মূল্যায়ন পুরুষের থেকে কম। তেমনই ক্রিকেট বিশ্বকাপেও নারীকে পুরুষের চেয়ে কম অর্থ প্রদান করা হতো। তবে নিজেদের যেকোনো টুর্নামেন্টে ছেলে ও মেয়েদের সমান প্রাইজমানি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সদ্যই এমন একটি ঘোষণা দিয়েছে। যা নারী খেলোয়াড়দের উৎসাহ ও মনোবল বৃদ্ধি করবে।

গত ১৩ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠিত আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে সংস্থাটি এই সিদ্ধান্ত জানায়। এই সিদ্ধান্তকে ক্রিকেট ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে আইসিসির চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে বলেন, ‘খেলার ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে, আইসিসি বা বৈশ্বিক ইভেন্টে পুরুষ ও নারী ক্রিকেটাররা এখন থেকে সমানভাবে পুরস্কৃত হবে।’

তিনি আরও বলেন ‘২০১৭ সাল থেকে অর্থ পুরস্কারের বাড়িয়ে আমরা সমান জায়গায় পৌঁছাতে চেয়েছি। এখন থেকে আইসিসির নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ীরা পুরুষদের সমান অর্থ পাবে।’ ২০২২ সালের ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড পায় ১৬ লাখ ডলার, রানার্সআপ পাকিস্তন ৮ লাখ ডলার। মেয়েদের বিশ্বকাপের বেলায় এই অঙ্ক ছিল যথাক্রমে ১০ লাখ ও ৫ লাখ।

এমনিতেই খেলাধুলার জগতে নারীদের অংশগ্রহণ পুরুষের তুলনায় অনেক কম। তাদপুরি যদি পুরুষপর তুলনায় নারীর সুযোগ-সুবিধা-পারিশ্রমিক সবই কম হয় তবে কিভাবে নারীরা এগিয়ে যাবে! সমাজের প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে নারীরা লড়াই করে প্রতিনিয়ত। এই লড়াই জারি রেখেই কিন্তু তারা বিশ্বের বুকে নিজেদের পরিচয় গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। তবে তাদের চলার পথকে সুপ্রসারিত করতে পারে এমন সিদ্ধান্ত। এখন আরও নারীরা খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।

নারী-পুরুষের সম অধিকার বন্টিত হোক। নারী এবং পুরুষ যদি পেশাগত জীবনে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হয় তবে সমাজের নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। অভিভাবকমণ্ডলীও তাদের মেয়ে সন্তানের প্রতি তাদের বিধিনিষেধ শিথিল করবেন। মূলত সমাজের প্রতিবন্ধকতা তো আছেই তার সঙ্গে যুক্ত হয় সুযোগ-সুবিধা জনক ত্রুটি। পুরুষ এবং নারীর মধ্যে বিভেদ। কিছু পরে হলেও ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী নারীদের এই সুযোগ প্রদানে বা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আইসিসিকে সাধুবাদ জানাই। আইসিসির এই সিদ্ধান্ত সর্বত্র গৃহীত হোক। নারীদের সম্মান-শ্রদ্ধা ও যোগ্য মূল্যায়ন করা হোক।

নিজেদের যেকোন টুর্নামেন্টে ছেলে ও মেয়েদের সমান প্রাইজমানি দেয়ার ঘোষণা সত্যি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এভাবেই এগিয়ে যাক নারীরা।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ