Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার চান ফিলিপাইনের নারীরা


বিশ্বের অন্যান্য দেশে বিবাহবিচ্ছেদ বৈধ ও সহজ একটি বিষয়। কিন্তু ফিলিপাইনে বিবাহবিচ্ছেদ অবৈধ। আদালতে বিষয়টি সুরাহা হতেও সময় লাগে অনেক। বিবাহবিচ্ছেদের ব্যাপারে দেশটির আইনি প্রক্রিয়া ধীর ও ব্যয়বহুল। বিচ্ছেদের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে দম্পতিদের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা ও আবার বিয়ে করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সহিংস সম্পর্কে বাঁচাও তাদের জন্য অনেক কঠিন।

৩ সন্তানের ম্যা স্টেলা সিবোঙ্গা। বিবাহবিচ্ছেদ চান তিনি। কিন্তু ক্যাথলিক সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের আইনের কারণে তিনি তা পারছেন না। স্টেলা বলেন, ‘আমি এখনো কৌশলগতভাবে বিবাহিত। এ কারণে মানুষ ভাবেন, আমি একজন পাপী। তারা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তা যাদের একত্র করেছেন, তাদের আলাদা করা যায় না। সত্যিই? এমনকি যদি আপনার স্বামী আপনাকে হত্যার চেষ্টাও করে, তারপরও বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দেওয়া হয় না?’


স্টেলা আরও বলেন, ‘স্বামীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক একদম ভালো নয়। দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করতে বাধ্য করেছিলেন আমাকে।’


ম্যানিলার বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী স্টেলা সিবোঙ্গা ১১ বছর ধরে বিবাহবিচ্ছেদের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। স্টেলার আইনি লড়াইটা শুরু হয় ২০১২ সালে। তখন তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে ‘মানসিক অক্ষমতার’ অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।


৫ বছর ধরে ৩ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার আইনি ফি দেওয়ার পর একজন বিচারক তার পক্ষে রায় দেন। এতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন স্টেলা। কিন্তু সেই স্বস্তি ছিল ক্ষণস্থায়ী। কারণ, দেশটিতে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানকে রক্ষার আইনি প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সলিসিটর জেনারেলের অফিস ২০১৯ সালে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে। সেই আপিলের বিচারকাজ এখনো চলছে।


স্টেলা বলেন, ‘রায় প্রত্যাহার করার জন্য আপিল আদালতে আবেদন করেন তিনি। এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি আদালত। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যারা কষ্ট পাচ্ছি, অপব্যবহারের সম্মুখীন হয়েছি, কেন আবার আইন দ্বারাও শাস্তি পাচ্ছি? আমরা মুক্ত হতে চাই।’

অনন্যা/নুপুর/

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ