ডিমের উপকারিতা
ডিম আমাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। ডিম অনেকের ৩ বেলারই খাবার বলা যায়। ডিম সহজলভ্য খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই পৃথিবীর প্রধান খাদ্য বলা যায় ডিমকে। এর উপকারিতা যতটা না বেশি, এটা খেতে তার থেকেও অনেক সুস্বাদু। ডিম দিয়ে তৈরি করা যায় এরকম হাজারো খাবার রয়েছে। ডিমের তৈরি যে-কোনো খাবার খেতে খুবই সুস্বাদু।
ডিমের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা মোটামুটি অনেকেই জানি। তবে সঠিকভাবে আমরা সম্পূর্ণটা জানি না। মুরগির ডিম বা হাঁসের ডিম; কোন ডিমে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে, সেই সম্পর্কেও আমরা সবাই জানি না। তাই আজ মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেবো।
মুরগির ডিম
১. ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে থাকে ১৪৯ কিলো ক্যালোরি এনার্জি।
২. মুরগির ডিমে পাওয়া যায় ১৭৩ কিলো ক্যালোরি খাদ্যশক্তি।
৩. মুরগির ডিমে ফ্যাট থাকে ১৩.৩ গ্রাম।
৪. কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেলের পরিমাণ সমান হলেও মুরগির ডিমে প্রোটিন কম। মুরগির ডিমে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, দস্তা, তামা, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও আয়রন।
৫. আকারে ছোট হওয়ায় ফ্যাট কম।
৬. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ডি এবং আয়রন মুরগির ডিমে কম থাকে।
হাঁসের ডিম
১. ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিম থেকে এনার্জি পাওয়া যায় ১৮৫ কিলো ক্যালোরি।
২. কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেলের পরিমাণ সমান হলেও হাঁসের ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে বেশি। ম্যাঙ্গানিজ, দস্তা, তামা, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে।
৩. প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে রয়েছে ১৮১ কিলো ক্যালোরি খাদ্যশক্তি। নিউট্রিশনে ভরপুর হাঁসের ডিম।
৪. হাঁসের ডিমের ফ্যাট থাকে ১৩.৭ গ্রাম,
৫. সাইজে বড় হয় হাঁসের ডিম। মুরগির ডিমের চেয়ে হাঁসের ডিম প্রায় ৫০ শতাংশ বড় হয়। এছাড়া ফ্যাটের পরিমাণও বেশি থাকে।
৬. তবে হাসির ডিমের সাদা অংশে এলার্জি বেশি থাকে। কুসুমে থাকে না। তাই যাদের অ্যালার্জি আছে, তাদের হাঁসের ডিমের সাদা অংশ খেতে নিষেধ করা হয়।
অনন্যা/ ডিডি