পিরিয়ডে যে-সব খাবার এড়িয়ে চলবেন
স্বাভাবিকের তুলনায় পিরিয়ডের সময় শরীরে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি দেখা দেয়। নানা রকম শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসে। তাই এসময় মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক করতে নারীদের দরকার বাড়তি যত্নের।
পিরিয়ডের যে-সব সমস্যা হয় নারীদের, সেগুলো হলো: পেটব্যথা, কোমর ভারী হয়ে আসে, গা-হাত-পা ব্যথা, ক্র্যাম্প, দ্রুত ক্লান্তি, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, আলস্য, বিরক্তি ও হজমের সমস্যা। প্রত্যেক নারীর ক্ষেত্রে সমস্যা আলাদা হয়ে থাকে।
তবে পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এড়িয়ে চলা না গেলেও কিছু সতর্কতা মেনে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। এ সময় যথাসম্ভব পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এছাড়া, বিশেষ বিশেষ কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
পিরিয়ডের সময় দুধের খাবার এড়িয়ে চলুন। দুধ, পনির, আইস ক্রিম, চকলেট এসব থেকে হজমের গোলমাল হতে পারে। এছাড়া দুগ্ধ জাতীয় পণ্যে প্রচুর পরিমাণ চিনি থাকে। পিরিয়ডের সময় চিনি জাতীয় খাবারগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। এ সময় এগুলো ক্র্যাম্পের ঝুঁকি বাড়ায়।
ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন
পিরিয়ডের সময় অনেক বেশি মুড সুইং হয়। সে কারণে অনেকের মধ্যে এই সময়ে ফাস্টফুড, জাংকফুড, তেলেভাজা, চিপস, চানাচুর, ফুসকা খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা দেয়। এসব খাওয়ার ফলে হিতে বিপরীত হয়। এমনিতেই এ সময় শরীর দুর্বল থাকে, তারওপর এসব খাবার আরও বেশি দুর্বল করে তোলে। হজমিশক্তিতেও প্রভাব পড়ে। পেটে আরও বেশি ব্যথা অনুভব হয়। তাই পিরিয়ডের সময় এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।
ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন
পিরিয়ডের সময় ক্যাফেইন বাদ দিন। আর না পারলে, পরিমাণ সীমিত রাখুন। ক্যাফেইন পিরিয়ডের ওপর সরাসরি প্রভাব না ফেলেও, কখনো কখনো বেশি প্রস্রাবের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পিরিয়ডের সময় বেশি কফি পান করলে ডিহাইড্রেশনও হতে পারে। এছাড়া সফট ড্রিংকেও ক্যাফেইন থাকে। পিরিয়ডের সময়ে এই ধরনের পানীয় ভুলেও পান করবেন না। ক্যাফিনের পরিবর্তে, গ্রিন টি, ডাবের পানি, ফলের রস পান করুন, গাজর খান। এগুলো মাসিকের সময় ক্র্যাম্প উপশম করতে সাহায্য করবে।
পিরিয়ডের সময় ভয় নয়, উপভোগ করুন। যে-সব খাবার শরীরের ক্ষতি করে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন। নিজেকে আনন্দে রাখার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, ঘুমান। যথেষ্ট পরিমাণ পরিষ্কার থাকুন।
অনন্যা/ ডিডি