Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্দায় নারীর অধিকারের লড়াই!

কাজী নজরুল বলেছেন , বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।” তবে নারী তার সঠিক মর্যাদা পরিপূর্ণভাবে কখনোই পায়নি।যুগে যুগে নারীর কাজের, আন্দোলনের, অধিকার আদায়ের স্বীকৃতি দিয়েছেন লেখক, পরিচালক থেকে শুরু করে অনেকেই। চলচ্চিত্রের ইতিহাসেও নারী কেন্দ্রিক অসংখ্য ছবি মানুষের মনে দাগ কেটে গিয়েছে। একেকটা দৃশ্য বুঝিয়ে দিয়েছে, নারীদেরও আপন ভাগ্য জয় করবার অধিকার রয়েছে। তেমন ৪ টি সিনেমার কথাই তুলে ধরবো আজ।

মিমি (২০২১):

বলিউডের আলোচনায় থাকা একটি ছবির নাম মিমি। এটি পরিচালনা করেন লক্ষ্মণ উটেকারের এবং এটি রচনা করেন লক্ষ্মণ উটেকার ও রোহন শঙ্কর। ছবিতে পঙ্কজ ত্রিপাঠী, সাই তামহঙ্কর, মনোজ পাহওয়া, সুপ্রিয়া পাঠক, এভলিন এডওয়ার্ডস এবং এডান হোয়াইটকও সহায়ক ভূমিকায় অভিনয় করেন।
একটি ছোট শহরের একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিনেত্রীর গল্প। একজন সারোগেট মা হিসেবে তাঁর লড়াই ফুটে উঠেছে ছবিতে৷ সমাজের প্রতিবন্ধকতা কিভাবে নারী হয়েও লড়াই করে এগিয়ে যাওয়া যায় তা তিনি দেখিয়েছেন।

পিঙ্ক (২০১৪):

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় সিনেমাটিতে অভিনয় করেন অমিতাভ বচ্চন, তাপসী পান্নু, কীর্তি কুলহারি, বিজয় ভার্মা, অঙ্গদ বেদী।
এখানে উঠে আসে মৃণাল নামের এক নারীর গল্প, যিনি একজন রাজনীতিকের ভাগ্নে দ্বারা শ্লীলতাহানির শিকার হন, তিনি তার বন্ধুদের সহায়তায় তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার চেষ্টা করেন। চলে অধিকারের লড়াই।

মার্দানি (২০১৪):

প্রদীপ সরকারের পরিচালনায় বলিউডের এই ছবিটিতে অভিনয় করেন রানি মুখার্জি, তাহির রাজ ভাসিন, যীশু সেনগুপ্ত, সানন্দ ভার্মা, অবনীত কৌর
রানি একজন নির্ভীক সিনিয়র ইন্সপেক্টর শিবানী শিবাজি রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন যিনি দিল্লি-ভিত্তিক একটি শিশু পাচারকারী কার্টেলকে উদঘাটন করতে কঠোর পরিশ্রম করেন। সাধারণত চ্যালেঞ্জিং পেশায় আমরা পুরুষদেরই বিবেচনা করি। নারীরও যে চ্যালেঞ্জিং পেশায় জায়গা করে নিতে পারে এ বিষয় মানতে আমরা নারাজ। আর সেই ট্যাবুই যেন এই সিনেমায় গুঁড়িয়ে দেন রানী মুখার্জী।

কাহানি (২০১২):

কাহানি, ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি-ভাষায় নির্মিত একটি ভারতীয় রহস্য থ্রিলার চলচ্চিত্র। ছবিটির সহ-কাহিনীকার, সহ-প্রযোজক এবং পরিচালক সুজয় ঘোষ। ছবিতে বিদ্যা বালনকে ভিন্নরূপে দেখেছে দর্শকরা। বিষ-গ্যাসের আক্রমণে নিহত হয়েছিলেন তার স্বামী এবং তিনি ছিলেন দামজির সহকর্মী। বিদ্যা তাঁর স্বামীর লাশ দেখে অবিলম্বে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন এবং তার ফলে তাঁর গর্ভপাত ঘটেছিল। তাঁর স্বামী এবং তাঁদের অনাগত সন্তানের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার মিশনে নামেন।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ