Skip to content

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদের সাজসজ্জা

এটা সাজসজ্জা নিয়ে কি ভাবছেন কিভাবে নিজেকে সাজাবেন কখন কিভাবে সাজবেন এ নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা নিজেদের মধ্যেই ঘুরাঘুরি করে। আর ঈদ নিয়ে অনেক আগে থেকেই মেয়েদের অনেক ধরনের পূর্ব পরিকল্পনা থাকে সেটা হোক পোশাকের কিংবা সাজসজ্জায় কিংবা ঘর সজ্জায়। তবে এদের সাজসজ্জা নিয়ে মেয়েদের সব সময় একটু বেশি আগ্রহ দেখা যায়। নিজেকে কিভাবে সুন্দর দেখাবে কখন কোন সময় কিভাবে সাজবে এই ধরনের একটা পরিকল্পনা সবারই থাকে। তবে সব পরিকল্পনাকে ঘিরে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিজেকে পরিপাটি, উজ্জ্বল, সতেজ ও সুন্দর যাতে লাগে। সৌন্দর্য মানেই বাড়তি ফর্সা হওয়া কিংবা নিজেকে ভুলে অন্য রূপ দেওয়া নয়। নিজের মধ্যে থাকা সৌন্দর্যকেই সুন্দর রূপ দিতে হবে। তবে ঈদের সাজসজ্জা পরিপূর্ণতা আসবে।

ঈদের সাজে তিন বেলা
ঈদের সাজ মানে সারাক্ষণ এক সাজ নয় এদের সাজ নির্ভর করবে পরিবেশ প্রকৃতি ও সময়ের ওপর। কোন সময় কোন সাজ বেশি সুন্দর লাগবে কিংবা আরামদায়ক হবে তা অবশ্যই সময়কে কেন্দ্র করে নির্ভর করবে। তাই ঈদের আজকে তিন ভাগে ভাগ করে নেওয়া যাক। তিনবেলার সাজ কেমন হওয়া উচিত যাতে করে সব সময় স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ হয়।

সকালের সাজ
ঈদের সকালের সময়টা আমাদের বাসাতেই কাটে। বিশেষ করে ঈদের সকালের সময়টা মেয়েদের রান্না ঘরে বেশিরভাগ কেটে যায়।একটা পরিবেশনার বিষয়ে থাকে পরিবারের সকলের জন্য। সেইসব দিক মাথায় রেখে ঈদের সকালের সাজ হতে হবে একদমই সাধারণ উজ্জ্বল আরামদায়ক। অবশ্যই পোশাকের সাথেও সাজের মিল থাকা প্রয়োজন। ঈদের সকালে সবাই একদম সাধারন পোশাক পরে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় উজ্জ্বল রং এর কোন পোশাক পরিধান করলে।উজ্জ্বল রঙের পোশাকের সঙ্গে পরিমিত সাজ দেখতে ভালো লাগবে। সকালের সাজের সাথে চুল বেঁধে নিন। তবে সকালেই গোসল সেরে ফেলেন তাহলে চুল খোলা রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে স্ট্রেইট করে আয়রন করে নিলে ভালো দেখাবে। সকালের সাঁজটা নো মেকাপ মেকআপ লুক করলে বেশি ভালো লাগবে। সকালের সাতটা নোট হলেই বেশি ভালো লাগবে চোখে হালকা কাজল পড়া যায়। তবে সকালের সাজে চোখে কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে যাবেন না। কারণ এতে রান্নাঘরে রান্নার সময় অসুবিধা হতে পারে। ঠোঁটের সাজে যেকোনো শেড সকালে বেশ মানানসই। ঈদের দিন সকালে নিজেকে এমন সাজে দেখতেও অনেক সতেজ লাগবে। আর সকালটাও বেশ আরাম আরাম বোধ মনে হবে।

দুপুরের সাজ
ঈদের দিনের দুপুরের সাজে আনতে পারেন একটুখানি ভিন্নতা। স্নিগ্ধ ও অভিজাত এই দুটির মাঝামাঝি লুক দুপুরের সাজে বেশি মানানসই। ঈদের সাজে মেকআপ তো করতেই হবে। দুপুরের সাজে ফাউন্ডেশনটা স্কিপ করা ভালো। ক্রিম আর ফেস পাউডার দিয়ে বেজ মেকআপ করে নিন। মুখের দাগ ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। কনট্যুরিং করতে চাইলে পাউডার কনট্যুরিং কিট ব্যবহার করুন দুপুরের জন্য ক্রিম কনট্যুরিং না করায় ভালো। গালে হালকা কালার ব্লাশ। চোখে পাউডার আইশ্যাডোর বাদামি শেড ব্যবহার করতে পারেন। চোখের হালকা কাজল এবং চোখের ওপরে আইলাইনারের রেখা এঁকে দিন। মাসকারার অবশ্যই দিতে হবে। দুপুরের সাজ ন্যাচারাল এর মধ্যে মিডিয়াম টু গর্জিয়াস হলে বেশি ভালো লাগবে। দুপুরের গরম পরিবেশে কোনভাবে অস্বস্তি না হয় এবং দেখতেও স্নিগ্ধ লাগে।

রাতের সাজ
ঈদে আমরা অনেকে অনেক ধরনের পোশাক নিয়ে থাকি। তবে ঈদের আসল এবং সবচেয়ে গর্জিয়াস জামাটা আমরা রাতেই পড়ে থাকি। তাই সাজটা অবশ্যই গর্জিয়াস হওয়া চাই। রাতের দিকে পরিবেশ মনোরম থাকে তাই গর্জিয়াস সাজে অস্বস্তি অনুভব হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পুরো একটা বেস মেকওভার করার মুখ্য সময়। চোখে স্মোকিং কিংবা হেভি গ্লিটার লুক করা যেতে পারে সাথে কন্টাক লেন্স এবং আইলাশ চোখে আরো অপূর্ব সুন্দর করে তুলবে। ক্রিম কনট্যুরিং এবং হেভি হাইলাইটার সাজকে আরো গর্জিয়াস করবে। পিংক বা পিচ কালারের ব্লাশ বেশি মানানসই হবে।তবে চোখে স্মোকি করলে ঠোঁটে নুড লিপস্টিক দেওয়া বেশি ভালো আর গ্লিটার করলে একটু গাঢ় লিপস্টিক দেওয়া ভালো। চুলটাকে নিজের মতো করে সেট করুন যা ড্রেসের সাথে মানাবে। ড্রেসের সাথে মিল রেখে একটু ভারী গহনা পড়ুন। অন্য দুইবেলা লোক থেকে রাতের লোক যাতে অবশ্যই ভিন্ন থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা নিজে যেভাবে স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ মনে হয় সেভাবেই সাজা ভালো।

ঈদের তিন বেলা পোশাকের সাথে মিল রেখে মন মত সাজু ঘুরে বেড়ান এবং ঈদকে স্মরণীয় করে রাখুন।

অনন্যা/এআই

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ