ঈদে অন্দরের সাজসজ্জা
ঈদ মানে খুশি আর আনন্দ। প্রতিবছরই সবাই অপেক্ষায় থাকে ঈদের। রমজানের শুরুর দিন থেকে দিন গোনা শুরু হয় ঈদের। ঈদে তো আমরা সকলেই নতুন জামা জুতা এবং নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য নতুন করে সাজিয়ে তুলি। নিজেকে যাতে সুন্দর লাগে সেরকম ভাবে নিজেকে সাজিয়ে তুলি। তবে শুধু নিজেকে সাজালে হবে না , সাজিয়ে তুলতে হবে নিজের ঘরকে। নিজেকে আকর্ষনীয় করে তুলার পাশাপাশি ঘরকে ও আকর্ষনীয় করতে হবে।
সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় আর আতিথিয়তার মাধ্যমে পূর্ণতা পায় ঈদের দিন। ঈদে সবচেয়ে সুন্দর করে নিজেকে উপস্থাপন করতে চাই। ঠিক তেমনি আমাদের ঘরের পরিচ্ছন্নতা এবং আসবাবের বিশেষ যত্ন অন্যদের সামনে আমাদের রুচির পরিচয় তুলে ধরে। আমাদের সুন্দর রুচির বহিঃপ্রকাশ আমাদের অন্দর থেকেই পাওয়া যাবে। ঈদে যেভাবে ঘরকে সাজিয়ে তুলতে পারি তা হল:
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
সবার প্রথমে আসি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার। আপনি যেভাবেই সাজাতে চান না কেন প্রথমে ঘরকে পরিষ্কার করতে হবে। আর ঘরে পরিষ্কার মানে সেটা হচ্ছে ঘরের প্রত্যেকটা জিনিস থেকে শুরু করে দেয়াল থেকে শুরু করে জানালার গ্রিল পর্দা বিভিন্ন সজ্জিত জিনিসপত্র সকল জিনিসকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষ্কার করতে হবে। ঘর পরিষ্কার না করে যেভাবেই ঘরকে সাজানো হোক না কেন ঘরের মধ্যে পরিপাটি বিষয়টা আসবে না এবং ঘরকে ফ্রেশ লাগবে না।
নতুন করে সাজানো
ঘরে তো সবই আছে তাও কিভাবে আরেকটি নতুন করা যায়। কি কি কেনা যায়? যদি কেনার প্রসঙ্গে আসে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই তা নির্ভর করবে ঘরের আকার আয়তন এবং নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী। এছাড়াও ঘরের জিনিসপত্র ঘরের মধ্যেই অদল বদল করে রাখা যায়। ঘরের জিনিসপত্র যদি অদল বদল করা হয় এতে করে ঘরের আকার এবং আয়তন দেখতে অন্যরকম লাগে এবং ঘরকে বেশ নতুন মনে হয়।
ড্রয়িং রুম
সবার আগে সাজাতে হবে ড্রয়িং রুমকে। পরিবারের লোক থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন সবাই প্রথমে ভিড় জমাবে ড্রয়িং রুমে। ঈদে টিভিতে বিশেষ অনুষ্ঠান দেখার জন্য সবাই একত্রিত হবে ড্রয়িং রুমেই। ড্রয়িং রুমকে অবশ্যই সুন্দর করে সাজাতে হবে। সেই ক্ষেত্রে কুশন এবং পর্দা ব্যবহারটাই ড্রইংরুমে বেশি দেখা যায়। দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের ফ্রেম এবং বিভিন্ন ধরনের ওয়ালমেট লাগানো যায়। লম্বা ধাচের ফুলদানি এবং দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যান্ড এছাড়াও সাইড স্ট্যান্ড এইসব ডিএ ড্রয়িং রুম কে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা যায়।
ডাইনিং টেবিল
ঈদের মূল আকর্ষণ হিসেবে সবসময়ই ডাইনিং টেবিল থাকে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘরের গৃহিণীদের পুরো সময়টা ডাইনিং টেবিলে দিতে হয়। অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে ঘরের মানুষ সকলের জন্য যেখানে খাবার পরিবেশন করা হয় তাহলে ডাইনিং টেবিল। সেই ডাইনিং টেবিল কে কিভাবে আকর্ষণীয় করা যায় তা নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা থাকে ঘরের গৃহিণীদের। আপনার ডাইনিং টেবিল সাজানোর মাধ্যমেও আপনার সুন্দর রুচির প্রমাণ পাওয়া যায়। অবশ্যই ঈদের দিন তুলে রাখা ডিনার সেট কিংবা নতুন কেনা ডিনার সেট দিয়ে আমরা টেবিল সাজাতে পারি। এছাড়াও টেবিলের মাঝে বিভিন্ন ধরনের ফুলদানি রাখতে পারে, টেবিলের মাঝে একটা লম্বা সতরঞ্জি রাখা যায়, ডিনার সেট টা একটু কালারফুল হলে ভালো বেশ আকর্ষণীয় লাগে, একটা কাটলারিসেট থাকলে সকলেরই খাবার খেতে সুবিধা হবে।
পর্দা ও চাদর
ঈদের সময় সবাই কম বেশি জামাকাপড়ের পাশাপাশি নতুন পর্দা ও চাদর কিনে থাকে। বিশেষ করে চাদর। চাদর কিনার ক্ষেত্রে দেশীয় নকশি কাঁথা ডিজাইন এর চাদর এবং ব্লকের চাদর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। অন্যান্য সময়ে স্বল্প মূল্যের চাদর কিনলেও ঈদের সময় মানুষ একটু দামি চাদর কেনায় প্রাধান্য দেয় বেশি। আর সেই চাদরের রং গুলো বেশিরভাগ সময় বেশ রঙিন হয়ে থাকে। কারণ রঙিন চাদর ঘরকে নতুন করতে সাহায্য করে। এমন সময় বিছানার চাদরের সাথে মিল রেখে পর্দা কিনার সুযোগ থাকে। ঘরের মধ্যে একটা কনট্রাস্ট বজায় থাকে। তবে পর্দার রং এর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় মানুষ খুব হালকা রঙের পর্দা কিনতে পছন্দ করে।
এই ঘর সজ্জা শুধু অতিথিদের জন্য নয় এই ঘর সজ্জা নিজেদের জন্য। যতই ঈদে সবাই ঘুরতে যাক না কেন ঈদের প্রথম দিনটি কিন্তু সবার ঘরেই কাটবে। তাই নিজেদের পাশাপাশি ঘরকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখলে দেখতে ভালো লাগবে।
অনন্যা/এআই