Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীর এগিয়ে চলা প্রকল্প: প্রসারিত হোক, দীর্ঘজীবী হোক

নারীদের সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বর্তমানে নারীর সঙ্গী হয়েছে নানা অঙ্গ-সংগঠন। আর এর মাধ্যমে নারী নিজেকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে সমর্থ হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, পরিবার- সমাজের নানা বাধা অতিক্রম করে অগ্রগামী হওয়ার সাহস জোগাচ্ছে এসব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। নানাবিধ পরামর্শ, জীবনযাপন পদ্ধতি প্রদানের পাশাপাশি নারীর এগিয়ে চলাকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেরও ব্যবস্থা করছে এসব অঙ্গ-সংগঠন।

এ লক্ষ্যে নারীর এগিয়ে চলা প্রকল্পের ৫টি কর্ম এলাকা ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলা, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা, পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলা, জামালপুর সদর ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২নম্বর ওয়ার্ড মিরপুর কালশীর ১০০ নারীকে নিয়ে ‘তরুণ নারী নেতাদের মিলনমেলা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ১০০জন তরুণীর অংশগ্রহণেই পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমণ্ডি রবীন্দ্র সরোবরে নারীপক্ষের উদ্যোগে ‘নারীর এগিয়ে চলা’ প্রকল্পটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নারীরা বিভিন্ন প্রতিকূলতায় কিভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হবেন, সে সম্পর্কে সচেতন হওয়ার দীক্ষা লাভ করেন।

নারীপক্ষ ধর্ম, বর্ণ, ভিন্ন পেশা, ভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও সংস্কৃতির নারীদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক ও ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ‘নারীর এগিয়ে চলা’ প্রকল্প তরুণ নারীদের সঙ্গে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নারীপক্ষে’ র এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।

আপামর নারীর পাশে থেকে শক্তি যুগিয়ে যাওয়ার সংগঠন নারীপক্ষ। নারীর পথচলাকে সুপ্রসারিত করতে দরকার সঠিক দিক নির্দেশনা। যার মাধ্যমে নারীরা প্রতিকূলতাকে পাড়ি দেওয়ার শক্তি লাভ করে। কিন্তু বর্তমান সমাজে অধিকাংশেরই হীন মানসিকতার শিকার নারীরা। যার ফলে নারীদের পথচলা বড্ড কঠিন। প্রতিপদেই নানা বিপর্যয়, ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে নারীকে হতে হয় বিজয়ী। ফলে শক্তি বা প্রেরণা হয়ে যদি নারীর সামনে কেউ দাঁড়ায় তখন নারীরা দ্বিগুণ উৎসাহ পায় এটাই স্বাভাবিক। আর নারীপক্ষের এ উদ্যোগ ধর্ম- বর্ণের উর্ধ্বে। তাই নারীদের জন্য এটি ভরসার জায়গাও বটে।

তরুণ সমাজই যেহেতু ভবিষ্যৎ ফলে এই প্রজন্মকে যতটা স্বাবলম্বী, নিরাপদ করে তোলা যায় দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ততোটাই ত্বরান্বিত হবে। তাই নারীর মানসিক শক্তি প্রদানে নারীপক্ষ’র মতো বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আরও বেশি যুক্ত হতে হবে। গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি পর্যায়ে নারীর শক্তিকে দৃঢ় করতে উপস্থিতি নিশ্চিত করা জরুরি। শুভ হোক নারীদের পথচলা। থেমে যাক শত প্রতিকূলতা। আর নারী তার অদম্য মনোবলের কাছে মাথা নত না করার প্রতিজ্ঞায় এগিয়ে যাক দেশ থেকে দেশান্তরে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ