অফিসের কাজের ফাঁকে ডায়েট যেভাবে করবেন
কর্মজীবী মানুষদের দিনের বেশি সময়টাতে থাকতে হয় অফিসে। সেইসঙ্গে অফিসে ব্যস্ত সময়ও পার করেন অনেকেই। শত ব্যস্ততার মাঝে ভুলে যান নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখতে। বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা।
বিভিন্ন ব্যস্ততার মাঝে সঠিক এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হয় না। অনেকেই তাই বেছে নেন অস্বাস্থ্যকর খাবারকে। সেইখানে যুক্ত হয় বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত তেলে রান্না করা খাবার ইত্যাদি। যার ফলে আপনি চাইলেও পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছেন না। এতে করে শরীরে ফ্যাট জমে যায় এবং বসে বসে কাজ করার ফলে ভুঁড়ি ও বেড়ে যায় পেটের। তাই অফিসের কাজের ফাঁকে নিজের শরীরের ও খেয়াল নিতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
অফিসে বাসার খাবার খান
বাহিরের খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে এবং ঘরে বানানো খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে যেমন ভালো এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হবে তেমন খরচ ও কম হবে। ফলে ভুঁড়ি বাড়ার ভয় থাকবে না, শরীর ও ভালো থাকবে।
অফিসের শেষে হাঁটুন
অফিসের ফাঁকে ফাঁকে একটু হাঁটাহাঁটি করে নিতে পারেন। এতে করে ক্লান্তি ভাব যেমন থাকবে না তেমন শরীর ও ভালো থাকবে। অফিসে আসার ক্ষেত্রে চাইলে পায়ে হেটে ও অফিসে আসতে পারেন যদি কাছের পথ হয়। এতে করে বাড়তি ক্যালরি ঝরে যাবে। সম্ভব না হলে অফিসের পর সময় নিয়ে ঘন্টা খানিক হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
নিয়মিত পানি পান করুন
সুস্থ থাকার একমাত্র পথ হলো নিয়মিত পানি পান করা। তাই চেষ্টা করুণ প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার। তাই নিয়মিত অফিসের ডেস্কেই রাখুন পানির বতোল। এতে করে পানি পান করা হবে এবং মেদ হওয়ার প্রবণতা ও কমে যাবে।
সঙ্গে বাদাম রাখুন
কাজের ফাঁকে খেতে পারেন এক মুঠ বাদাম। এটি বাড়তি ক্ষুদা দূর করতে সহায়তা করে এবং হেলথ এর জন্য ভালো কাজ করে। কেননা এতে আছে প্রচুর পরিমাণের প্রোটিন। যা কিনা আপনাকে সব সময় ফিট রাখতে সাহায্য করবে।
নিয়মিত ফল খান
স্বাস্থ্য যদি ভালো রাখতে চান তাহলে খেতে হবে বিভিন্ন রকমের ফল। তাই প্রতিদিন অফিসে নিয়ে রাখুন ফল।কাজের ফাঁকে ফাঁকে খেয়ে নিতে পারবেন। তাই সুস্বাস্থ্য পেতে চাইলে জাঙ্ক ফুড ও কোল্ড ড্রিংক বাদ দিতে হবে খাবারের তালিকা থেকে।
অফিসের কাজে নিজেকে বেশি ব্যস্ত না রেখে নিজেকে নিয়েও একটু ভাবুন। আর নিয়মতি খাবারের তালিকায় রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে করে ভালো থাকবে শরীর ও মন উভয়ই ভালো থাকবে।