Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা রাখতে পরিবেশ দিতে হবে

যেকোনো কাজ সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য চায় সুষ্ঠু পরিবেশ। যদি কাজের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা না হয়, তবে কর্মী যতই দক্ষ হোক না কেন, তিনি তার পরিপূর্ণটা দিতে পারবেন না। এটাই স্বাভাবিক। এই চিরন্তন কথাটি পুরুষের জন্য যেমন শতভাগ সত্যি, নারীর ক্ষেত্রেও ঠিক তাই।

কিন্তু আমাদের সমাজে নারীরা কোথাও তার কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ পান না। নানারকম প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে তাকে টিকে থাকতে হয়। এরপরও আজকের নারীরা তাদের মনোবল দিয়ে অনেকটা এগিয়ে গেছেন। এই নারীরা দেশের উন্নয়ন তথা অর্থনৈতিক উন্নতিতে আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবেন, যদি তাদের জন্য সুষম পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।

আমাদের সমাজ মানসের প্রথম এবং একমাত্র সমস্যা মানসিকতা। এই কূপমন্ডুকতা নিয়ে কতদূরই বা এগুনো যায়! আমরা জানি, যারা হীন-মানসিকতা থেকে পরিত্রাণ পান না, তারা নিজের তো বটেই, অন্যের পথেরও কাঁটা হন। আর নিজের কাঁটা বিছানো পথে অন্যকে চলার জন্য আষ্টেপৃষ্টে আঁটকে ধরেন। যতদিন মানসিকতার উন্নতি না ঘটবে, ততদিন কোনো ভালো অর্জনকেও এই শ্রেণি সাদরে গ্রহণ করতে পারবে না। ফলে আগে সমাজের রদবদল ঘটাতে হবে।

নারীর একার পক্ষে পৃথিবী জয় করা সম্ভব নয় ,আবার পুরুষের একার পক্ষেও নয়। যদি নারী-পুরুষ একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব নিয়ে সহোযোগী হয়ে ওঠে, তবে কাঙ্ক্ষিত সফল্য এমনিতেই হাতে এসে ধরা দেবে।

নারীরা যদি সুষ্ঠু, সুন্দর, সুস্থ পরিবেশ পান, তবে তাদের পক্ষে অনেক কাজ করা সম্ভব, ইতোমধ্যে নারীরা এর প্রমাণও দিয়েছেন। যদিও যে নারীরা সাফল্য অর্জন করেছেন, তারা সবাই কটুকথার শিকার হয়েছেন। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন। তবু শুধু মনের জোরে সাফল্যকে তারা ছুঁতে পেরেছেন।

নারীর জন্য দেশের কর্মক্ষেত্রগুলো যৌন নির্যাতনের এক একটি হটস্পট। যে পেশায়ই নারী নিযুক্ত হোক না কেন, অধিকাংশ নারীকেই এমন বাজে আচরণের সম্মুখীন হতে হয়। এরফলে নারীর স্বাভাবিক গতি রোহিত হয়। নারী তার কাজে পূর্ণ মনোযোগী হয়ে উঠতে পারেন না৷ নিজেকে গুটিয়ে রেখে মানুষ কতদূর যেতে পারেন?

সবক্ষেত্রেই নারীর জন্য তাই গড়ে তুলতে হবে সুষম পরিবেশ। কাজ করতে গিয়ে নারী-পুরুষ ভেদে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে কিভাবে একটি প্রতিষ্ঠানকে তথা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করা যায়, সম্মান বয়ে আনা যায়, সেক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রবাদে আছে, ‘দশের লাঠি একের বোঝা’। এটা শুধু জীবনদর্শনই নয়, এটা চরম বাস্তবতাও। ফলে নারীর একার পক্ষে পৃথিবী জয় করা সম্ভব নয় ,আবার পুরুষের একার পক্ষেও নয়। যদি নারী-পুরুষ একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব নিয়ে সহোযোগী হয়ে ওঠে, তবে কাঙ্ক্ষিত সফল্য এমনিতেই হাতে এসে ধরা দেবে। তাই দেশ ও দশের কল্যাণে নারীর জন্য সুষম পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ